ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে তীব্র বাতাসে রাস্তায় গাছ পড়ে অনেক এলাকায় যানজট দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনবরত বৃষ্টি ঝরছে। এরই মধ্যে ঢাকায় ১২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি বছরে রাজধানীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, বৃষ্টিপাতের সঙ্গে গতিও বেড়েছে বাতাসের। এতে রাত নাগাদ নগরীর বেশ কয়েকটি স্থানে ঝড়ে গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। রাত ১২টার দিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ঝড়ে রাজধানীর অন্তত ১৫টি স্থানে গাছ পড়েছে বলে খবর এসেছে। যদিও ফায়ার সার্ভিস বলছে- প্রচণ্ড রাজধানীর ১৩টি স্থানে গাছ পড়েছে।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজধানীতে দিনভর বৃষ্টিপাত আর দমকা বাতাসে হাতিরঝিলে অনেক গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝিলের সড়কমালা ও রোড ডিভাইডারে লাগানো অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে। সঙ্গে ডালপালাও ভেঙেছে। আবার সড়কের ওপর গাছ পড়ে যান চলাচলও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এসবের বাইরেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতোমধ্যেই হাতিরঝিল পানিতে টইটম্বুর হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে জলাবদ্ধতার কারণে বহু যান্ত্রিক বাহনও বিকল হতে দেখা গেছে। সবমিলিয়ে হাতিরঝিলে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
রাত ১১টা নাগাদ গুলশান পয়েন্টের পুলিশ প্লাজার মোড় থেকে মগবাজার পান্থপথ পর্যন্ত অন্তত ৫০ জায়গায় গাছের ডালপালা ভাঙাসহ সড়কের ওপর গাছ উপরে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সোমবার রাতে এক বার্তায় ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উপকূলীয় এলাকার সকল ফায়ার স্টেশনকে স্ট্যান্ডবাই ডিউটি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উপ-পরিচালক (অপারেশন্স ও মেইন্টেইনেন্স) কামাল উদ্দীন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয়ভাবে খোলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মনিটরিং সেল।
অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩টি স্থানে ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অপসারণ করেছেন। সরকারি সংস্থাটি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সাহায্যের জন্য মনিটরিং সেলের নম্বরগুলোতে যে কোনো সময় ফোন করা যাবে। হটলাইন: ১৬১৬৩, টেলিফোন: ০২-২২৩৩৫৫৫৫৫, মোবাইল: ০১৭৩০-৩৩৬৬৯৯।
এছাড়াও কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ সকল বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বরগুলোও সচল রয়েছে।
টিএই/আইএইচ