শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

বিএনপির সমাবেশে সেই বাবরের সমর্থকদের শোডাউন

খলিলুর রহমান
প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:২৮ পিএম

শেয়ার করুন:

বিএনপির সমাবেশে সেই বাবরের সমর্থকদের শোডাউন
ছবি: ঢাকা মেইল

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। তবে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গোলাপবাগে অনুষ্ঠিত বিএনপির গণসমাবেশে শোডাউন করেছেন তার সমর্থকরা। এমনকি তার মুক্তির দাবিতে নানা ধরনের স্লোগানও দিতে দেখা গেছে তাদের।

এ দিন বাবরের মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে আসেন তার সমর্থকরা। সেই সঙ্গে প্রতিটি সমর্থকদের পরনে থাকা টি-শার্টেও ‘বাবর ভাইয়ের মুক্তি চাই’- এমন স্লোগান লেখা দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


BNP Assemblyসরেজমিনে শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ ঘুরে দেখা যায়, বাবরের সমর্থকরা মাঠের বাইরের সড়কে শোডাউন দিচ্ছেন। পাশাপাশি অনেককেই মাঠের ভেতরে প্রবেশ করে তার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ সময় মুক্তির দাবি সম্বলিত নানা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের নজর কাড়ার চেষ্টা করেন।

শোডাউনকালে কথা হয় শফিক মিয়া নামে বাবরের এক সমর্থকের সঙ্গে। তিনি নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার মেন্দিপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি।

BNP Assemblyঢাকা মেইলকে তিনি জানান, বিএনপির সমাবেশে অংশ নিতে খালিয়াজুরী উপজেলা থেকে প্রায় ৭ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় এসেছেন। শনিবার সকালে মিছিল সহকারে গোলাপবাগ মাঠে প্রবেশ করেন তারা।

শফিক মিয়া জানান, সমাবেশে অংশ নেওয়া সবাই সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সমর্থক। তার মুক্তির দাবিতেই ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশে আসা।


বিজ্ঞাপন


দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো নেত্রকোনা- ৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলে বাবর। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০০১ সালে লুৎফুজ্জামান বাবর ফের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে চারদলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিমন্ত্রী হলেও তিনি অনেক প্রভাবশালী ছিলেন। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তাকে আটক করা হয়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ছাড়াও আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।

ওই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ ৪৯ জনকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন আর ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাবরের বিরুদ্ধে সর্বশেষ রায় হয় ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর। দুর্নীতির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম ৮ বছরের কারাদণ্ড দেন বাবরকে। ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি বাবরের বিরুদ্ধে রমনা থানায় ওই মামলাটি করেছিল দুদক।

এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। সে সময় চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এই রায় দেন।

উল্লেখ্য, গত নির্বাচনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। ওই সময়ও নেত্রকোনার মদন, মোহনগঞ্জ ও খালিয়াজুরী উপজেলা বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

কেআর/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর