শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

নয়াপল্টনে সংঘর্ষে ৩ থেকে ৫ মামলার প্রস্তুতি পুলিশের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৪৭ পিএম

শেয়ার করুন:

নয়াপল্টনে সংঘর্ষে ৩ থেকে ৫ মামলার প্রস্তুতি পুলিশের
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস। ছবি: ঢাকা মেইল

রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ থেকে ৫টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক আইন ছাড়াও নাশকতা ও সন্ত্রাস দমন আইনে মামলাগুলো করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।


বিজ্ঞাপন


ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, গতকালের ঘটনায় ৩ থেকে ৫টি মামলা হবে। মামলাগুলো পুলিশের ওপর হামলা, বিস্ফোরক মজুদ, নাশকতার অভিযোগে করা হচ্ছে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে। তৃতীয় কোনো ভেন্যুর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের কথাও আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। পরে বিকেলের দিকে সেখানে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

BNP Clashওই সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আরও জোরালো হয়। এতে পুরো এলাকা যেন রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এ সময় স্লোগান দিয়ে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে নয়াপল্টন থেকে ফকিরাপুল মোড় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে পড়ে দলীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা। সেই সঙ্গে কার্যালয়ের মধ্যে আটকা পড়েন রুহুল কবির রিজভীসহ আরও অনেক নেতাকর্মী।


বিজ্ঞাপন


BNP Clashবুধবার বিকেলের ওই সংঘর্ষের পর নয়াপল্টন কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে একে একে অবরুদ্ধ নেতাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ বিএনপির। দলটির পক্ষ থেকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।

BNP Clashএদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অন্যরা ঢামেকে চিকিৎসাধীন।

অন্যদিকে, সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ১৫টির মতো ককটেল ছাড়াও ১৬০ বস্তা চাল, নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ পানি উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবারও কার্যালয়ের সামনে সিআইডির বোমা ডিসপোজাল ইউনিটকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে বিএনপি কার্যালয়ের চতুর্দিক হলুদ রশি দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছেন তারা।

BNP Clashএই অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাকরাইল নাইটেঙ্গেল মোড়ে আসেন মির্জা ফখরুল। কিন্তু পুলিশের বাঁধায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে পারেননি তিনি। অবশ্য গতকালও সংঘর্ষের পর পুলিশি অভিযানে কার্যালয়ে ঢুকতে চাইলে সে সময়ও বিএনপির শীর্ষ এই নেতাকে নয়াপল্টন কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে রাত অবধি ফুটপাতের রাস্তায় বসে থাকার পর একপর্যায়ে ফিরে যান বিএনপি মহাসচিব।

এমআইকে/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর