আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেদিন নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে এবং মানুষ নতুন স্বপ্নে জেগে উঠবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে এক গোলটেবিল আলোচনায় এসব কথা বলেন। ‘ভায়োলেন্স অ্যান্ড পলিটিক্স অব ব্লেমিং’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।
বিজ্ঞাপন
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ হবে। এ নিয়ে মনে কেউ দ্বিধা রাখবেন না। ১০ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে। সেই কর্মসূচি নিয়ে জনগণ মাঠে নেমে পড়বে।’
ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময়। যে জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধ করে ছিল মুক্তির জন্য আজ সেই জাতির কী করুণ পরিণতি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার সচেতনতার সঙ্গে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ব্যাংক লুটপাট করে ছারখার করে দিয়েছে। দেউলিয়ার পথে দেশ। মানুষ যেভাবে জেগে উঠেছে তাতে আমাদের জয় হবেই। বিজয়ের পর আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠন হবে।’
বিজ্ঞাপন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সরকার চাপার ওপর ১৪ বছর ক্ষমতায় টিকে আছে। আমরা যে দাবি নিয়ে সমাবেশ করছি সেটা জনগণের দাবি। এ কারণে সমাবেশে বিএনপির নেতাকর্মীর যে সাধারণ জনগণের উপস্থিতি বেশি।’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘ভোট চোর হিসেবে আওয়ামী লীগকে বোঝায়, এটি সাধারণ জনগণও জানে। আর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভোট চোরকে ভোট দিয়েন না। অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েন না। এখন আমাদের চূড়ান্তভাবে নাড়া দিতে হবে, এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘নয়টি বিভাগে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করেছে বিএনপি। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়েছে সেটা দেখাতে পারবেন না। সরকার নার্ভাস হয়ে পড়েছে, সে কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে যাতে আমরা সমাবেশ করতে না পারি।’
বিএনপির গোলটেবিল বৈঠকে ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রতিনিধি টম্বাজ, নরওয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন সিলজে ফাইন ওয়াননিবো, অস্ট্রেলিয়া সেকেন্ড সেক্রেটারি ডানকান কুলোচ, ইরাকের প্রতিনিধিও অংশ নেন।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ, বেগম সেলিম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, শাহজাহান ওমর, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, জয়নুল আবেদীন ফারুক, তাজমীর এস ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপাস পার্টি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের আবু সাঈদ, সুব্রতচৌধুরী, জাগপা চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমই/জেবি