পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এরমধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীও রয়েছেন।
বিএনপি নেতাদের দাবি- কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভেতরে অমানবিক অবস্থায় আছেন নেতাকর্মীরা। কার্যালয়ের বাইরে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডের ধোঁয়া ভেতরে প্রবেশ করায় নেতাকর্মীরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতার দাবি- অনেকের পায়ে ও বাহুতে গুলি লেগেছে। পুলিশ নয়াপল্টনের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে অভিযান চালিয়ে যাকে পাচ্ছে, তাকেই মারধরের পর ধরে নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, সবশেষ বিকেল সাড়ে ৫টা অবধি নয়াপল্টন, কাকরাইল, নাইটেঙ্গেল মোড় ছাড়াও ফকিরাপুলের পুরো এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বিকেলে পৌনে ৫টার দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। প্রথমে তাকে কার্যালয় ঢুকতে না দিলেও পরবর্তীতে কেচিগেট খুললে ভেতরে প্রবেশ করেন ফখরুল। এ সময় চেয়ারপারসনের বিশেষ সরকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে। তৃতীয় কোনো ভেন্যুর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের কথাও আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই বুধবার নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখানে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সেই সঙ্গে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা নয়াপল্টন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। একই সময় নেতাকর্মীদের ছুঁড়ে মারা ইট তুলে উল্টো নিক্ষেপ করতেও দেখা যায় পুলিশকে। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের গলিতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেও ফাঁকে ফাঁকে তারা পুলিশের দিকে হাতের কাছে যা পাচ্ছে তা ছুড়ে মারে।
এমই/আইএইচ