ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের স্থান নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। এখন পর্যন্ত নয়াপল্টন ছাড়তে চান না দলটির নেতারা। পাশের আরামবাগে সড়কের ওপর বিকল্প স্থান হিসেবে আরেকটি প্রস্তাব বিএনপির পক্ষ থেকে করা হলে তাতে অনীহা পুলিশের। এমন অবস্থার মধ্যেও নেতাকর্মীদের আনাগোনা বেড়েছে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। ঢাকার বাইরে থেকেও অনেকে এসে পৌঁছেছেন দলের কর্মসূচিতে। তাদের সবার জন্য খাওয়ার আয়োজন করছে বিএনপি।
এজন্য কার্যালয়ের নিচতলায় করা হয়েছে রান্নার আয়োজন। আর বিপুল পানির বোতল মজুত করা হচ্ছে ভেতরে।
বিজ্ঞাপন
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি। নয়াপল্টনে অনুমতি চাইলেও তাদের পুলিশ অনুমতি দিয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কিন্তু বিএনপি সাফ জানিয়ে দিয়েছে উদ্যানে তারা যাবে না।
গতরাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে খিচুড়ি রান্নার জন্য পেঁয়াজ ও রসুনসহ মসলা তৈরিতে ব্যস্ত একদল কর্মী। কার্যালয়ের নিচে রান্নার প্রস্তুতি সেরে বাইরে খিচুড়ি রান্না করা হচ্ছে। বড় বড় পাতিলে করে এসব রান্না হচ্ছে। পরে নেতাকর্মীসহ নয়াপল্টনে যারা আসছেন তাদের মাঝে পরিবেশন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, রাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের শীর্ষ নেতা গোলাম মাওলা শাহিনের পক্ষ থেকে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
দিনেও রান্না হয়েছে খিচুড়ি, যা আগত সবাই খেয়েছেন। অন্যদিকে গাড়ি ভরে পানির বোতল আনতে দেখা গেছে। প্রায় লাখখানের ছোট পানির বোতল আনা হয়েছে বলে দলটি সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের একজন নেতা বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা এখানে অবস্থান করছেন। আমরাও কয়েক দিন ধরে এখানে আছি। সমাবেশ সফল করে বাড়ি যাব।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল (বুধবার) থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে শুরু করবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। ঢাকা জেলার নেতাকর্মীদের আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা আসবে, তাদের নিজ দায়িত্বে আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে কার্যালয়ের ভেতরেও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী আপাতত অবস্থান করবে বলে জানা গেছে। তাদের জন্যই নিয়মিত খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুধু কার্যালয়ে নয় আশপাশের বিএনপি নেতাদের বাড়িতেও সমাবেশে আসা লোকজনের খাবার রান্না হবে বলে জানা গেছে।
বিইউ/এমআর