রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিতে নিহত মকবুল হোসেনের (৪০) ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই সঙ্গে তার লাশ স্বজনের কাছেও হস্তান্তর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এই কর্মকর্তা জানান, নয়াপল্টনে নিহত মকবুল হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টন এলাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে ঘটনাস্থলে অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন মকবুল হোসেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মকবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে মর্গেই তার লাশ ছিল। সবশেষ ময়নাতদন্ত শেষে আজ সন্ধ্যায় তার লাশ পরিবারকে বুঝিয়ে দিল পুলিশ।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে। তৃতীয় কোনো ভেন্যুর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের কথাও আলোচনায় রয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার সকাল থেকে নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। পরে বিকেলের দিকে সেখানে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওই সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে রায়টকার দিয়ে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ আরও জোরাল হয়। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
বিজ্ঞাপন
এমআইকে/আইএইচ