বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন (প্রথম শ্রেণির মর্যাদা) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হবে বিকেল ৩টায়।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়। মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস আবেদন দুটি দাখিল করেন।
বিজ্ঞাপন
সকাল ১১টার দিকে বিএনপির সিনিয়র দুই নেতার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মাদ আলী, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সহ দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল কাইয়ুম ঢাকা মেইলকে এসব তথ্য জানান।
বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এটি শুনানি করা হবে।
বিএনপির এই দুই নেতা জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। সেজন্য তাদের কারাগারে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দিতে আবেদন করা হয়। বিকেলে এ আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে গত রোববার (১১ ডিসেম্বর) তাদের আইনজীবী ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিমের আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছিলেন। পরে গতকাল তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তাকে সহযোগিতা করেন জাকির হোসেন জুয়েল, শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন।
মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
গত বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
এআইএম/এমআর