রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মকবুল হোসেন (৪০) নামে ওই ব্যক্তি মারা যান।
বিজ্ঞাপন
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র ঢাকা মেইলকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে কথা হলে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের এখানে একটি ডেড বডি এসেছে। আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম মকবুল। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত না।’
এদিকে, ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন, ‘নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত ছিল।’
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিভাগীয় সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দলটিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি সেখানে সমাবেশ করবে না বলে জানিয়েছে। তৃতীয় কোনো ভেন্যুর বিষয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠের কথাও আলোচনা হচ্ছে। এর মধ্যেই বুধবার নয়াপল্টনে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সেখানে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সেই সঙ্গে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় গোটা নয়াপল্টন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত একটি ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। একই সময় নেতাকর্মীদের ছুঁড়ে মারা ইট তুলে উল্টো নিক্ষেপ করতেও দেখা যায় পুলিশকে। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের গলিতে অবস্থান নেয়। সেখান থেকেও ফাঁকে ফাঁকে তারা পুলিশের দিকে হাতের কাছে যা পাচ্ছে তা ছুড়ে মারে।
এমএইচ/আইএইচ