রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে গেইটের সামনে ফুটপাতে দীর্ঘ দুই ঘণ্টা নিশ্চুপ বসেছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে পার্টি অফিসের মূল ফটক ত্যাগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিজ্ঞাপন
যাওয়ার আগে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যায় ও পাশবিকভাবে বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা ও আটক করা হয়েছে। পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরাই ব্যাগে করে বিস্ফোরক এনে এখন মিথ্যে তথ্য দিচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন , ‘সরকারের নীতিনির্ধারকটা নানা উস্কানিমূলক বক্তব্যে বলেছিলেন যে, এমন ঘটনা ঘটাবেন। এটা শুধু বিএনপির ওপর আঘাত নয়, দেশ ও গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। সরকার পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘পুলিশ সব ডকুমেন্ট নিয়ে গেছে লাইট, সিসি ক্যামেরা ভেঙেছে। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না।’
এর আগে বুধবার দুপুরে নয়াপল্টন এলাকায় একাধিক সাজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান এবং অতিরিক্ত ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করে পুলিশ। বিকেল তিনটায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সংঘর্ষ শেষে গ্রেফতার অভিযান চালায় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
এমই/জেবি