রোববার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

তাবলিগ জামাতের ছয় মূলনীতি

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম

শেয়ার করুন:

তাবলিগ জামাতের ছয় মূলনীতি

ছয়টি উসুল বা মূলনীতির ওপর পরিচালিত হয় তাবলিগ জামাত। আসুন জেনে নিই মূলনীতিগুলো কী।

১) কালেমা: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই, হজরত মুহাম্মদ (স.) আল্লাহ তাআলার প্রেরিত রাসুল।
কালেমার উদ্দেশ্য: কালেমার অর্থ ও দাবি হলো সত্য উপাস্য হলেন একমাত্র আল্লাহ, যার কোনো শরিক নেই এবং তিনিই একমাত্র ইবাদত পাওয়ার অধিকারী। এ মহান কালেমার অর্থে এটাও অন্তর্ভুক্ত যে, তিনি ছাড়া যত উপাস্য আছে সব অসত্য এবং বাতিল, তাই তারা ইবাদত পাওয়ার অযোগ্য। আর মুহাম্মদ (স.)-এর ওপর অবশ্যই পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে যে তিনি আল্লাহর প্রেরিত রাসুল। তাঁর আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়নেই রয়েছে মুক্তি।
উপকারিতা: রাসুল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন এমনভাবে আসবে যে, সে একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলেছে আল্লাহ পাক তার ওপর দোজখের আগুন হারাম করে দেবেন। (বুখারি: ৬৪২৩)


বিজ্ঞাপন


২) নামাজ: আল্লাহ তাআলার কুদরত থেকে সরাসরি ফায়দা হাসিল করার উপায় হলো আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের হুকুমগুলোকে মুহাম্মদ (স.)-এর পদ্ধতিতে পুরা করা তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো নামাজ। রাসুলুল্লাহ (স.) যেভাবে নামাজ পড়তেন এবং সাহাবাদের যেভাবে নামাজ শিক্ষা দিয়েছেন, সেভাবে নামাজ পড়ার যোগ্যতা অর্জনে চেষ্টা করা।
নামাজের উপকারিতা: আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, নিশ্চয় নামাজ নির্লজ্জ ও অশোভনীয় কাজ থেকে বিরত রাখে। (সুরা আনকাবুত: ৪৫)

৩) ইলম ও জিকির: আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে সরাসরি ফায়দা হাসিল করার জন্য আল্লাহ পাকের হুকুমকে হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর তরিকায় পালন করার উদ্দেশ্যে ইলম হাসিল করা। অর্থাৎ এ বিষয়ে যাচাই করা যে, আল্লাহ তাআলা বর্তমান অবস্থায় আমার কাছে কী চাইছেন।
উপকারিতা: আল্লাহ তাআলা বলেন, আপনার ওপর কিতাব ও জ্ঞানের বিষয় নাজিল করেছেন এবং আপনাকে এমন সব বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন যা আপনি জানতেন না, আর আপনার প্রতি অসীম অনুগ্রহ রয়েছে। (সুরা নিসা: ১১৪)

৪) একরামুল মুসলিমিন: বান্দাদের সঙ্গে সম্পর্কিত আল্লাহ পাকের হুকুমকে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর তরিকায় পালন করা এবং তাতে মুসলমানদের সম্মানের প্রতি খেয়াল রাখা। মূলত ‘মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই; কাজেই তোমরা ভাইদের মধ্যে শান্তি স্থাপন করো, আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি দয়া করা হয়।’ (সুরা হুজরাত: ১০) রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, যে বান্দা আল্লাহ তাআলার জন্য কোনো মানুষকে মহব্বত করল, সে আপন রবকে সম্মান করল। (মুসনাদে আহমদ: ২৫৯)

৫) সহিহ নিয়ত: আল্লাহ তাআলার হুকুমকে একমাত্র আল্লাহ তাআলার জন্য পালন করা। আল্লাহ তাআলাকে রাজি করার উদ্দেশ্যে বিশুদ্ধ নিয়তে ইবাদত করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বিশুদ্ধ ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই যোগ্য (সুরা জুমার: ৩)। ‘আল্লাহর কাছে না তাদের (কোরবানির) গোশত পৌঁছে, আর না তাদের রক্ত; তাঁর কাছে তোমাদের তাকওয়া পৌঁছে থাকে..। (সুরা হজ: ৩৭)
উপকারিতা: রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, মানুষ যখন সওয়াবের নিয়তে আপন পরিবারের ওপর খরচ করে এই খরচ করার ওপর সে সদকার সওয়াব পায়। (বুখারি: ৫৫)


বিজ্ঞাপন


৬) দাওয়াতে তাবলিগ: নিজের বিশ্বাস ও আমলকে সহিহ করা এবং মানুষকে সহিহ বিশ্বাস ও আমলের ওপর আনার জন্য রাসুল (স.)-এর তরিকাকে সমস্ত দুনিয়ায় চালু করার চেষ্টা করা।
উপকারিতা: রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলা হয়েছে, আপনি বলে দিন, আমার রাস্তা তো এটাই যে, আমি পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে আল্লাহ তাআলার দিকে দাওয়াত দিই এবং যারা আমার অনুসারী তারাও। (সুরা ইউসুফ: ১০৮)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর