টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে যোগ দেওয়া মুসল্লিদের মধ্যে মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাত থেকে রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তাদের মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী জহির ইবনে মুসলিম গণমাধ্যমকে এসব মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের মধ্যে বার্ধক্যজনিত ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এ পর্যন্ত সাতজন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বার্ধক্যজনিত কারণে ১২ জানুয়ারি মারা যান নুরুল হক ও আবু তালেব। শুক্রবার ইজতেমার প্রথম দিনে মারা যান হাজী মোহাম্মদ হাবিবউল্লাহ হবি, মোফাজ্জল হোসেন খান।
ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে আক্কাছ আলী সিকদার, আব্দুল রাজ্জাক ও হাবিবুর রহমান হবি মারা গেছেন। সবার জানাজা ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইজতেমা ময়দানে মৃতদের পরিচয়
ইজতেমার প্রথম পর্বে মৃতদের মধ্যে আছেন সিলেটের হরিপুরের হেমুবটে পাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নূরুল হক (৬৩), গাজীপুরের ভুরুলিয়া এলাকার আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০), ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাজী মোহাম্মদ হাবিবউল্লাহ হবি (৬৮), ঢাকার কেরানীগঞ্জের মলমলিয়া গ্রামের মোবারক হোসেন খানের ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন খান (৭০), মুন্সীগঞ্জের মধ্যে কামাল গ্রামের আদিল উদ্দিন সিকদারের ছেলে আক্কাছ আলী সিকদার (৫০), চট্টগ্রাম জেলার রাউজান গ্রামের আব্দুল রশিদের ছেলে আব্দুল রাজ্জাক (৭০) ও নরসিংদী জেলার মাছিমপুর গ্রামের রহমত উল্লার ছেলে হাবিবুর রহমান হবি (৭০)।
বিজ্ঞাপন
গত শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। আজ রোববার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এই পর্বোর ইজতেমা।
চার দিন বিরতির পর আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। শেষ হবে আগামী রোববার।
এমএইচ/এমআর















































































































