বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুই মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বাদ জোহর ইজতেমা ময়দানে তাদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুর শহরের ভুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আবু তৈয়ব ওরফে আবু তালেব (৯০) এবং সিলেটের জৈন্তাপুর থানার হরিপুরের হেমুবটে পাড়া এলাকার মো ফজলুল হকের ছেলে মো. নুরুল হক (৬৩)।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী আব্দুন নূর জানান, বার্ধক্যজনিত রোগে তাবলিগ জামাতের গাজীপুর মারকাজের শুরা সদস্য আবু তৈয়ব সকাল ১০টার দিকে মারা গেছেন।
আর নুরুল হক ভুগছিলেন এজমা রোগে। সকালে ইজতেমা ময়দানের ৬২ নম্বর খিত্তায় অবস্থানকালে নুরুল হকের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি মারা যান।
ইজতেমা ময়দানে জানাজা শেষে লাশ দুটি তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুরু হয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মুসলিম সম্মেলন তাবলিগ জামাতের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এবার ইজতেমায় একদিন আগেই গতকাল থেকে আম বয়ান শুরু হলেও শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ইজতেমা।
বিজ্ঞাপন
দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লি ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়নি।
বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে মুসল্লিরা আসছেন বিশ্ব ইজতেমা মাঠে। বিদেশিরাও এসেছেন। শীত উপেক্ষা করে চটের ছাউনির নিচে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এবার ইজতেমার মাঠকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। ১৬০ একর খোলা ময়দানে বাঁশের খুঁটির ওপর পাটের চট দিয়ে টানানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। তবে বিদেশি মেহমানদের জন্য টিন দিয়ে করা হয়েছে আবাসস্থল।
টিএই/জেবি















































































































