বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত হবে আজ। এতে অংশ নিতে রোববার (১৫ জানুয়ারি) সাতসকালে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে মানুষের ঢল নেমেছে। এখনও বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে ছুটছেন ধর্মপ্রাণ মানুষ।
সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ থেকে আব্দুল্লাহপুর-টঙ্গীগামী প্রতিটি বাসে ছিল ব্যাপক ভিড়। এছাড়া বাড্ডা, নতুনবাজার, বসুন্ধরার প্রত্যেক বাসস্ট্যান্ডে প্রচুর মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
আজ সকাল বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে এই মোনাজাত শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় ধর্মীয় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এরই মধ্যে দেশের নানা প্রান্ত ও বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে চলে এসেছেন। শীত উপেক্ষা করে চটের ছাউনির নিচে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

এবারে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই সঙ্গে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ও ঢাকায় প্রবেশের সময় সব ট্রেন টঙ্গী রেলস্টেশনে থামবে। এছাড়া আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ‘মোনাজাত স্পেশাল’ নামের বিশেষ ট্রেন পরিচালিত হবে। যা রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গীর উদ্দেশ্যে প্রথম ট্রেন ছেড়ে যাবে ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে, দ্বিতীয় ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, তৃতীয় ট্রেন ছাড়বে ৭টা ৩০ মিনিটে, চতুর্থ ট্রেন ছাড়বে ৯ টায় এবং পঞ্চম ট্রেন ছাড়বে সকাল ১০ টায়।
বিজ্ঞাপন

বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে শনিবার মধ্যরাত থেকে গাজীপুরের কয়েকটি রুটে যান চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার প্রথম পর্বের শেষদিন আখেরি মোনাজাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আবদুল্লাহপুর হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে। একই কারণে কামারপাড়া থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত সড়কের দুই দিক এবং টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে পূবাইল পর্যন্ত সড়কেও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য যাতে কারও সমস্যা না হয় সে কারণে টঙ্গি ব্রিজের এখানে আমরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখবে পুলিশ।
ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলাসহ সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১০ হাজার পুলিশ কাজ করছে। আশা করি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। নিরাপদে সকলে যেন ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারে সে বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি।

এর আগে শুক্রবার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। চার দিন বিরতির পর আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হবে। ২২ জানুয়ারির প্রথম প্রহরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হবে।
একে















































































































