টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার শুরুর দিন থেকে নানা আয়োজনে চলছে বিশ্ব ইজতেমা। আজ রোববার (১৫ জানুয়ারি) আখেরি মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বৃহৎ এই আয়োজন।
আয়োজক কমিটি সূত্র জানিয়েছে, ইজতেমা ময়দানে বয়ান শোনার জন্য ১২ হাজার মাইকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে ১৬০ একরের উন্মুক্ত মাঠে বাঁশের খুঁটির ওপর চট লাগিয়ে বিশাল আকারের ছাউনি। এখানে প্রয়োজন হয়েছে লাখ লাখ বাঁশ এবং চটের।
বিজ্ঞাপন
আবার বিদেশি মেহমানদের জন্য টিনের ছাউনি ও বেড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ ও টেলিফোন লাইন এবং সমাবেশস্থলটি প্রথমে খিত্তা ও পরে খুঁটি নম্বর দিয়ে ভাগ করা হয়। তিন শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, পানির জন্য ১২ কিলোমিটার পাইপ লাইন, সাড়ে ৮ হাজার অস্থায়ী টয়লেট বসানো হয়েছে।
পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হচ্ছে। মশা নিধনের জন্য ২৫টি ফগার মেশিন কাজ করছে। মাঠে প্রবেশের জন্য চারপাশে মোট ১৭টি প্রবেশপথ রয়েছে। সবগুলো পথ কেন্দ্র করে ব্যবসা-বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠছে। মূলমঞ্চের বাইরে মাঠে তৈরি করা হয়েছে কমপক্ষে ২ শতাধিক মোকাব্বির মঞ্চ।
এদিকে বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে পাঁচটি স্পেশাল ট্রেন পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেই সঙ্গে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া ও ঢাকায় প্রবেশের সময় সব ট্রেন টঙ্গী রেলস্টেশনে থামছে। এছাড়া আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ‘মোনাজাত স্পেশাল’ নামের বিশেষ ট্রেন পরিচালিত হচ্ছে। যা রোববার সকাল ১০টা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গীর উদ্দেশে প্রথম ট্রেন ছেড়ে যায় ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে, দ্বিতীয় ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে, তৃতীয় ট্রেন ছাড়ে ৭টা ৩০ মিনিটে, চতুর্থ ট্রেন ৯টায় এবং পঞ্চম ট্রেন সকাল ১০টায়।
বিজ্ঞাপন
টিএই/এএস