অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে দেশে দুই দফায় অনুষ্ঠিত হয় তাবলীগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা। এবার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে গত রোববার। চার দিন বিরতির পর দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ২০ জানুয়ারি থেকে। যে পর্বে অংশ নেবেন সাদপন্থীরা।
মঙ্গলবার টঙ্গীর তুরাগতীরে সাদপন্থীদের কাছে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান হস্তান্তর করেছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। মাঠ বুঝে পেয়ে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে শুরু করেছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
সাদপন্থী তাবলীগ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুপুরে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ইজতেমা মাঠ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার থেকে তাবলীগের সাথীরা মাঠে জমায়েত হতে থাকবেন।
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা নিয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ইজতেমা সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান বলেন, 'বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজক জুবায়েরপন্থীদের কাছ থেকে সকাল ১১টার দিকে ইজতেমাস্থল বুঝে নিয়ে দুপুরে দ্বিতীয় পর্বের আয়োজক মুরুব্বিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা দেখেছি ময়দানের প্যান্ডেল, বিদ্যুৎ সংযোগসহ ব্যবহার্য সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আয়োজকদের যাতে কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় সেজন্য সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।'
গত ১৩, ১৪ এবং ১৫ জানুয়ারি তিন দিন তুরাগতীরে জোবায়েরপন্থীরা বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আয়োজন করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও সব ধরণের সহযোগিতা দেয়ার কথা বলেছেন।
তিনি জানান, ইজতেমায় জরুরি পরিচ্ছন্নতা সেবা প্রদানের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সার্বক্ষণিক গারবেজ ট্রাকসহ প্রায় ৬০০ পরিচ্ছন্নকর্মী মোতায়েন রয়েছে। ইজতেমা ময়দানের দক্ষিণ পাশে তুরাগ নদীর তীরে বর্জ্য ফেলার জন্য অস্থায়ীভাবে ড্যাম্পিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডারসহ অন্যান্য উপকরণ মজুত রয়েছে। এ পর্বেও আয়োজকদের প্রস্তুতিকাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
আর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা বলেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলেও জানান তিনি।
বিইউ/এমআর