বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষ হয়েছে সকাল ১০টা ২২ মিনিটে। নানা ভোগান্তি পেরিয়ে লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন মোনাজাতে। ২২ মিনিট ধরে চলা মোনাজাত শেষে এবার ফিরতে হবে ঘরে। আর তাইতো উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর হয়ে মিরপুর দিয়াবাড়ি এবং পল্লবী এলাকার দিকে ছুটছেন হাজারো মানুষ।
আখেরি মোনাজাতের পরই উত্তরার প্রতিটি অলিগলি ও সড়কে ঢল নেমেছে মানুষের। যে যেভাবে পারছেন দ্রুত উত্তরা এলাকা ছাড়ছেন।
বিজ্ঞাপন
মিরপুর থেকে সপরিবারে এসেছিলেন নুরবানু। সঙ্গে ছিল তার স্বামী ও বাচ্চা দেবরসহ আরও অনেকে। ভোরবেলা বের হয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন তারা। এখন বাড়ির দিকে ছুটছেন।
নুরবানু বলেন, কষ্ট হলেও মোনাজাতে অংশ নিতে পেরেছি তাতেই নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
সকাল থেকে এই পথে বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে যাওয়া মানুষের ঢল নেমেছিল। সকাল দশটা নাগাদ ১২ নম্বর সেক্টর হতে তুরাগ পর্যন্ত সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এর মাঝে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন।
রবিউল ইসলাম এসেছিলেন সাভার থেকে। রোববার রাতে তারা তুরাগ মাঠে পৌঁছেন। তার সঙ্গে আসেন বাবা ভাই এবং আপন ভাগিনা। তাদের সঙ্গে সকাল থেকে মাঠে ছিলেন। সকালে আখেরি মোনাজাত শেষ হলে দেরি না করে দ্রুত পায়ে হেঁটে রওনা হন সেখান থেকে। মাঝপথে একটি পিকআপ ভ্যানে উঠে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর পর্যন্ত আসেন। সেখানে নেমে দিয়াবাড়ির যাওয়ার প্রস্তুতিকালে কথা হচ্ছিল তার সঙ্গে।
বিজ্ঞাপন
রবিউল জানান, তুরাগ মাঠ থেকে টঙ্গী এবং উত্তর এলাকায় কোন ধরনের যানবাহন চলছে না। তবে উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টর আসার মুখে প্রধান সড়কে পার্কিং করে রাখা গাড়িগুলো নিয়ে ছুটছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষজন।
উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে কথা হয় ট্রাফিক সদস্য আতিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ঘণ্টাখানেক আগে এত মানুষের চাপ ছিল না। কিন্তু মোনাজাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়ছে। এই পথ ধরে হাজার হাজার মানুষ এখন যাচ্ছেন বাড়ির দিকে। এখান থেকে তুরাগ যাওয়ার রাস্তা বন্ধ কিন্তু তার পথ আমরা খুলে দিয়েছি।
তুরাগ মাঠ থেকে ফিরে যাওয়া এসব মানুষ এখন পিকআপ ভ্যান ট্রাক বাস এবং নিজস্ব প্রাইভেটকারের ছুটছেন নিজ নিজ বাড়ির দিকে। এসব মানুষের অনেকে দোয়া দরুদ এবং আল্লাহ জিকির করছেন।
কুমিল্লা থেকে আসা রমিজ উদ্দিন মোল্লা ঢাকা মেইলকে জানান, তারা প্রায় ৫০ জন এসেছেন একটি বাস ভাড়া করে। সেই বাস দিয়াবাড়ির পাকুরিয়া এলাকায় পার্কিং করা হয়েছে। যে কারণে তারা মোনাজাতে অংশ নিয়ে বাস ধরেছেন।
এমআইকে/এমআর