টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ। কুয়াশা, কনকনে শীত উপেক্ষা করেই মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লি পাড়ি জমিয়েছেন তুরাগ তীরে। বিপুল সংখ্যক লোক সমাগমের কারণে যেকেনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন। রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে ইজতেমা ময়দান পর্যন্ত রাস্তা পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া গাজীপুরসহ ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকায় সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, ইজতেমাস্থল ৯১টি খিত্তায় বিভক্ত। খিত্তাভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাজীপুর মহানগর পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, নৌপুলিশ, অ্যান্টিট্যারিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় পর্বের মোনাজাতকে কেন্দ্র করে ঢাকা মহানগর পুলিশ ও গাজীপুর মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমা ময়দানের অলিম্পিয়া স্কুল মাঠের পাশে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সেখান থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে। অপরদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে আব্দুল্লাহপুরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম রয়েছে। সেখান থেকেও সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করছে পুলিশ।
তাবলিগ জামাতের অনুসারীদের মতবিরোধের কারণে এবারও বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলাদাভাবে দুই পর্বে। প্রথম পর্ব সমাপ্তির চার দিন পর গত শুক্রবার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। আজ রোববার দুপুরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়েই আগত মুসল্লিরা রাতের মধ্যে ময়দান ত্যাগ করবেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশ এলাকায় লাগানো হয়েছে প্রায় ৩০০ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো এলাকা মনিটরিং করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র আরও জানায়, সাধারণ মানুষের ইজতেমা মাঠে প্রবেশের সুবিধার্থে ম্যাপ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পকেটমারসহ নানা অপরাধমূলক কার্যকলাপ রুখতে পেট্রোল টিম কাজ করছে। ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা।
বিজ্ঞাপন
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতকে ঘিরে কামারপাড়া, টঙ্গী থেকে গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস, আশুলিয়া অর্থাৎ অব্দুল্লাহপুর ব্রিজ থেকে বাইপালের রোড বন্ধ রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভোগড়া থেকে ৩০০ ফিট পর্যন্ত বাইপাস হয়ে চলে যাবে ঢাকাগামী লোকজন। যেসব মুসল্লি বা লোকজন ময়মনসিংহ বা গাজীপুর যাচ্ছেন, তারা বাইপাল থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা হয়ে ময়মনসিংহের দিকে চলে যাচ্ছেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এসেছেন। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার দিনগত রাত ১২টার পর থেকে কয়েকটি সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
কেআর/এমআর
