শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২২, ১১:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের আমেজ ম্লান করতে সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনা কোনো নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (৬ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ার পর এবং সেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণার পর দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা করা হয়েছে। সেটির ধারাবাহিকতায় দেশবাসীর দৃষ্টি অন্যদিকে নিয়ে যেতে সীতাকুণ্ডের দুর্ঘটনার পেছনে কোনো নাশকতা আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ডিপোর মালিকানা নিয়ে কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ত্রুটি চিহ্নিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কোনো গণমাধ্যম টেলিভিশন এবং পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়েছে, এই কনটেইনার ডিপোটি একজন আওয়ামী লীগ নেতার। আমি খোঁজ-খবর নিলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানের এই ডিপোতে মালিকানা মাত্র পাঁচ শতাংশ। ৯৫ শতাংশের কথা না বলে পাঁচ শতাংশের মালিককে এটির মালিক দেখিয়ে যারা এটিকে আওয়ামী লীগ নেতার ডিপো বানানোর চেষ্টা করেছেন, সেই সাংবাদিকতাটা সঠিক হয়নি। অপসাংবাদিকতা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রশাসন এবং আমাদের দলের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যা কিছু করা প্রয়োজন, সে জন্য সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে। সেই নির্দেশ মোতাবেক সিভিল প্রশাসন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলো এগিয়ে এসেছে। তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই। আর আমাদের নেতাকর্মীরাও ঝাঁপিয়ে পড়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহত এবং নিহতদের উদ্ধার করা থেকে শুরু করে সমস্ত কাজে তারা শুরু থেকে ছিল, এখনো আছে।’


বিজ্ঞাপন


ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ কারণেই যাদের রক্ত প্রয়োজন তাদের রক্তের অভাব হয়নি, যে বডি-ফ্লুইড দরকার সেটিরও কোনো অভাব হয়নি, যদিও এত বড় একটা দুর্ঘটনায় এগুলো অভাব হতে পারত, কিন্তু সবাই এগিয়ে এসেছে বিধায় অভাবটি হয়নি।

সরকার স্বাস্থ্যখাতসহ সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবের ইদানিংকালের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, তার একটু চিকিৎসার দরকার আছে। তিনি স্ব-জ্ঞানে না কি আধোচেতন অবস্থায় কথা বলেছেন। যেটা গয়েশ্বর বাবু বলেন, সেটা আমি জানি না।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি ভালো না হতো, দক্ষিণ এশিয়ায় করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এক নম্বর হত না, সমগ্র পৃথিবীতেও শীর্ষস্থানীয় হত না। এই দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্যকর্মীরা, ডাক্তাররা ছাড়াও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, এটি অভাবনীয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব দুর্ঘটনা না দেখে ঠাকুরগাঁও বসে মুখস্থ বক্তব্য দিয়ে দিলেন, কিন্তু কই তাদের কোনো নেতাকর্মী তো এখানে ছুটে আসেনি, রক্ত কিংবা ফ্লুইড দেওয়ার জন্য তাদের কাউকে দেখা যায় না, সব আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই ছুটে এসেছে।

এ দিন তথ্যমন্ত্রী বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান। পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

এ সময় চমেক হাসপাতালের অধ‌্যক্ষ শা‌হেনা আক্তার, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর