চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১৪ জনকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থায় আশঙ্কাজনক।
সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শনিবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। পরবর্তীতে কন্টেইনার বিস্ফোরণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে। একে একে বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বন্দর নগরের অন্যান্য হাসপাতালের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
আগুনে দগ্ধদের মধ্যে ১৪ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত তাদেরকে এখানে এনে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন রোববার রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমার এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ জন দগ্ধ রোগীকে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাকফুরুল নামে একজনকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) নেয়া হয়েছে। তার শরীরের ৬৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এছাড়া এসআই কামরুলের শরীরের ৩৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। খালেদুর রহমান নামে আরেকজনকেও জরুরি বিভাগে রাখা হয়েছে। তার শরীরের ১২ শতাংশ পুড়েছে।
সন্ধ্যায় দগ্ধ যেসব রোগীকে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছে তারা হলেন- কন্টেইনার ডিপোর সিকিউরিটি ইনচার্জ মাইনুল হক চৌধুরী, শ্রমিক আমিনুদ্দিন, ড্রাইভার ফারুক হোসেন ও মোহাম্মদ রাশেল, ফায়ার ফাইটার রবিন মিয়া ও গাউসুল আজম, মাসুম মিয়া, নরসিংদী ফরমানুল ইসলাম, ড্রাইভার রুবেল মিয়া, ফারুক হোসেন ও মহিবুল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘যেসব দগ্ধ রোগীকে এখানে আনা হয়েছে তাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। ২/১ জন ছাড়া সবারই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে (ইনহেলিসন বার্ন)। তাদের মধ্যে দু’জন ফায়ার ফাইটারকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছে।’
একেবি