চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ২২ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করা হবে।
সোমবার (৬ জুন) সকালে ২২ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
চমেক হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোছা. ইনসাফি হান্না বলেন, অজ্ঞাত মরদেহগুলোর চেহারা চেনা যাচ্ছে না। অনেক চেহারা পুড়ে প্রায় বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে যাদের স্বজনরা এখনও নিখোঁজদের খুঁজছেন তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নির্ধারিত স্থানে যোগাযোগ করলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হবে।
ইতোমধ্যে চমেক হাসপাতাল এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে, যাদের স্বজনের খোঁজ মিলেনি তারা যেন আজ সোমবার সকাল ৯টায় হাসপাতালে অবস্থান করেন। এরপর দাবিকৃত স্বজনদের ডিএনএ পরীক্ষা করার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দফতরের এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, লাশ হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের নগদ দুই লাখ টাকার চেক এবং দাফন-কাফনের যাবতীয় খরচ দেওয়া হচ্ছে। যাদের লাশ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
জেবি

















































































































