চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন আট ঘণ্টার বেশি সময় পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। তবে কোনোমতেই আগুনের তীব্রতা কমছে না। অনেকটা অসহায় পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নেভাতে আশপাশের জেলা থেকে নতুন নতুন ইউনিট যোগ দিচ্ছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে আগুন লাগে। সকাল ৭টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার জানান, ডিপো এলাকায় পানির সংকট রয়েছে। সেখানে একটি পুকুর থেকে পানি আনা হয়েছিল, সেই পানিও এখন শেষ পর্যায়ে।
এদিকে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার শতাধিক।
রোববার (৫ মে) ভোরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সব চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাসপাতালে এসে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
জেবি