চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারিতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন এখন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে পুরোপুরি নেভেনি, এখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। সোমবার (৬ জুন) বেলা ১২টায়ও কয়েকটি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
এদিকে টানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীও।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, বিএম ডিপোর পশ্চিম পাশের কয়েকটি কনটেইনারে আগুন জ্বলছে। তাছাড়া আশপাশের আরও কয়েকটি কনটেইনার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ওপর থেকে এসব কনটেইনারে পানি ছিটাচ্ছেন। আগুন নেভাতে এখন ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। রাসায়নিক মিশ্রিত পানি যাতে সমুদ্রে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সেনা সদস্যরা কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, আমরা এখনও আগুন নেভানোর কাজ করছি। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগবে। বিভিন্ন কনটেইনারে এখনও আগুন জ্বলছে, ধোঁয়া বের হচ্ছে। আমরা সাবধানতার সঙ্গে সেগুলোতে পানি দিচ্ছি। আর যেসব কনটেইনার আগুনে ক্ষতি হয়নি সেগুলো নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছি।
এদিকে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪৯ জনের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হওয়া ২২ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) পরীক্ষা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৬ জুন) সকালে ২২ জনের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চমেক হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক মোছা. ইনসাফি হান্না বলেন, অজ্ঞাত মরদেহগুলোর চেহারা চেনা যাচ্ছে না। অনেক চেহারা পুড়ে প্রায় বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে যাদের স্বজনরা এখনও নিখোঁজদের খুঁজছেন তারা হাসপাতাল প্রাঙ্গণে নির্ধারিত স্থানে যোগাযোগ করলে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের দফতরের এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, লাশ হস্তান্তরের সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বজনদের নগদ দুই লাখ টাকার চেক এবং দাফন-কাফনের যাবতীয় খরচ দেওয়া হচ্ছে। যাদের লাশ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গত শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
জেবি