চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার শতাধিক। নিহতদের মধ্যে তিনজন ফায়ার সার্ভিস কর্মী বলে জানা গেছে।
রোববার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আগুন আট ঘণ্টার বেশি সময় পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে। তবে কোনোমতেই আগুনের তীব্রতা কমছে না। অনেকটা অসহায় পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নেভাতে আশপাশের জেলা থেকে নতুন নতুন ইউনিট যোগ দিচ্ছে।
শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে আগুন লাগে। সকাল ৭টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
রাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে এসে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ বলেন, বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট কাজ করে। পরে ইউনিট আরও বাড়ানো হয়। এখন ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। ডিপোতে আমদানি ও রফতানির বিভিন্ন মালবাহী কনটেইনার আছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, আগুন লাগার পর বেশ কয়েকটি কনটেইনারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। কনটেইনারে রসায়নিক থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিষ্ফোরণে ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত অনেকেই দগ্ধ হয়েছেন। ওইসব এলাকার সকল গ্লাস ফেটে গেছে।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, বিস্ফোরণে তাঁদের থানার কনস্টেবল তুহিনের এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আরও অন্তত ৯ কনস্টেবল, ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন এবং শিল্প পুলিশের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি মাইনুদ্দিন বলেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল বলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের বেগ পেতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া উৎসুক জনতার ভিড়ে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। বিষ্ফোরণে ফায়ার সার্ভিসের ২১ জন সদস্য এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন। ৬ জনকে সিএমএইচ ও বাকি ১৫ জনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
/এএস