চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ হারানো এবং যারা আহত হয়েছে সবার সুচিকিৎসা ও নিহতদের পরিবারকে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএম কনটেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কনটেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি। কিন্তু নৈতিকতা ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে হতাহতদের পাশে থাকব।’
বিজ্ঞাপন
পরিচালক বলেন, ‘আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় আমরা বহন করব। এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে।’ এছাড়া প্রশাসন যেভাবে সিদ্ধান্ত দেবে সেভাবেই সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ডিপোর কনটেইনারে বিস্ফোরণ ও আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণেই এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডই ছিল মূলত এসব কনটেইনারে। যা অ্যাভিয়েশন শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়। উচ্চ চাপে এই রাসায়নিক বোতলজাত করা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ডিপোর কর্মকর্তাদের বরাতে আমরা জানতে পেরেছি, কনটেইনারগুলোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ছিল। তবে প্রথমে আগুন নেভাতে আসা ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কেউ অবহিত করেনি। এমন রাসায়নিকের আগুন নেভাতে হয় ফগ সিস্টেমে। আমরা এখন এই পদ্ধতিতে এবং ফোমের মাধ্যমে এখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।’
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের তিন কর্মীসহ ১৬ জনের মৃতু্য হয়েছে। আহত হয়েছেন চার শতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিইউ/জেবি