চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নয় দিন পর ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও কিছু হাড়গোড় উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে ওই হাড়গোড়গুলো উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক।
বিজ্ঞাপন
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া হাড়গুলোর মধ্যে একটি পায়ের ছোট অংশ রয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড়ও পাওয়া গেছে। তবে সেগুলো এক ব্যক্তির, না কি একাধিক ব্যক্তির- তা বোঝা যাচ্ছে না।
সীতাকুণ্ড থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য উদ্ধার করা হাড়গুলো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে সংগ্রহ করা নমুনাগুলো সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা। পরবর্তীকালে ফায়ার সার্ভিস ছাড়াও বিভিন্ন বাহিনীর সহায়তায় ৮৬ ঘণ্টা পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথমে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর ৭ জুন দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরও দুজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। পরদিন ৮ জুন সকালে চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান। ওইদিনই সন্ধ্যায় ডিপোর ভেতরে আরও দুজনের দেহাবশেষ পাওয়া যায়। সবশেষ গতকাল রোববার (১২ জুন) ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম। আর চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে মারা যান কন্টেইনার ডিপোর আরেক কর্মী নুরুল কাদের। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভয়াবহ ওই বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ৪৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
/আইএইচ