চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর ভয়াবহ বিস্ফোরণের যে ঘটনা ঘটেছে তাতে মনিটরিং টিমের অবহেলা ছিল বলে মনে করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রোববার (৫ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
সীতাকুণ্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে আলাদা কোনো বিষয় না। এখানে কাস্টম, বন্দর কর্তৃপক্ষ বা অনান্য যেসব অংশীজন আছে, আমরা একসঙ্গেই আছি। প্রাথমিকভাবে আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হচ্ছে যেহেতু কিছু নীতিমালা, বিধিমালা, আইন-কানুন মেনেই প্রাইভেট কন্টেইনার ডিপো সেটা এখানে আছে, আমিতো মনে করছি তাদের এখানে অবহেলাটা প্রাথমিকভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা এখানে যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিতো তাহলে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটতো না। আইএমডিজি নীতিমালা এবং আইএসপিএস যে কোড আছে, সে অনুযায়ী কন্টেইনার ডিপো পরিচালনা করার কথা। যদি এ দুটি নীতিমালা ও কোড অনুসরণ করে যদি তারা পরিচালনা করে তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার কোনো কারণ নেই।
জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এটা বলা যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় মামলা হবে কী না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আসুক, এতগুলো মানুষ মারা গেল, মামলাতো হবেই।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। রাত পৌনে ১১টার দিকে একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। পরে দফায় দফায় বিস্ফোরণের ঘটনা গটে। এতে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।
এই ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
টিএ/জেবি

















































































































