চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে।
শনিবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যদের আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসূল এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই ঘটনায় ৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া আরও অন্তত ৩০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমজাদ হোসেন বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে আশপাশের এলাকা কেঁপে উঠেছে। বিস্ফোরণের সময় প্ল্যান্টের ভেতর লোকজন ছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে খবর পেয়ে আগুন নেভাতে একে একে ছুটে যায় চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। পরে নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলা থেকেও যোগ দেয় আরও কয়েকটি ইউনিট। সবমিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে নিরলস পরিশ্রম করে।
বিজ্ঞাপন
কনটেইনারে থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে দফায় দফায় ওই সময় বিস্ফোরণে বাড়ে আগুনের ভয়াবহতা। আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশাসন প্রথমে ৪৯ জন নিহতের তথ্য দিলেও পরে জানানো হয় এই সংখ্যাটা ৪১। তবে পরবর্তী সময়ে ঘটনাস্থল থেকে আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার ছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও কয়েকজন মারা যান। এতে সেই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৮ জনে।
এইউ