বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞরা যে পরামর্শ দেবেন সে অনুযায়ীই তারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করবেন।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দিনব্যাপী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদান পদ্ধতি নির্ধারণের বিষয়ে এক কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিবও উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
সিইসি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বিশেষজ্ঞদের আজকের কর্মশালা থেকে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি নির্ধারণ হবে আশা করি। যে পদ্ধতি আপনারা সাজেস্ট করবেন, সে অনুযায়ী আমরা উদ্যোগ নেব। এরপরই পদ্ধতি নিয়ে একটা আর্কিটেকচার দাঁড় করানো হবে। পাইলটিংয়ের মাধ্যমে কোনো দেশে ভোটিং পদ্ধতি চালু করা হবে।
নাসির উদ্দিন বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রবাসীদের বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক ওয়ার্কশপ থেকে হোক একটি বা কোন কোন দেশে পাইলট প্রোগ্রাম করা যায়, সেই পরামর্শ আপনারা দিন। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে যে পদ্ধতিতেই আমরা আগাই না কেন, প্রথমে পাইলটিং পরে স্বল্প পরিসরে করতে হবে, এরপর বড় পরিসরে যেতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মতো নির্বাচন কমিশনও আগামী নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের অনেকেই দেখা করে তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে বলেছেন। তবে আমরা যেটা দেখলাম, এটা খুব সহজ নয়। অনেক পর্যালোচনার পর আমরা তিনটি পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছি। পোস্টাল ভোটিং, যেটি আমাদের এখন আছে। অনলাইন ভোটিং এবং প্রক্সি ভোটিং নিয়েও আমরা কাজ করছি।
বিজ্ঞাপন
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি এখানে তেমন কার্যকর হবে না। প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতিই উপযোগী।
পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিংয়ের চেয়ে ‘প্রক্সি ভোটিং’ পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাবি, বুয়েট, এমআইএসটি এবং সরকারি-বেসরকারি-উন্নয়ন সহযোগীদের মতামত নেওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৮০ জন অংশ নিয়েছেন।
এমএইচএইচ/জেবি

