বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাজেটে লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে: খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২২, ০৮:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

বাজেটে লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে: খসরু

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে সবদিক থেকে জনগণ বিশাল চাপের মুখে পড়বে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর দাবি প্রস্তাবিত বাজেটে লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যার বলি হবে জনগণ। 

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজধানীর বনানীতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। 


বিজ্ঞাপন


সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘এই যে এত বড় একটা বাজেট দিয়েছে। এটা বাস্তবায়ণ করতে গেলে দিন শেষে টাকাতো জনগণের পকেট থেকেই যাবে। বিভিন্নভাবে যে ট্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে, এগুলো কিন্তু সাধারণ মানুষের পকেট থেকে যাচ্ছে। লুটপাটের জন্য যে টাকাটা ব্যয় হচ্ছে, সেই টাকাটা তো জনগণের পকেট থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য যে টাকা সরকারের তহবিলে থাকার কথা, সেই টাকা আজকে নাই বলে চাপটা আরও বেড়ে যাবে।’  

প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, ‘অনির্বাচিত হলে, অবৈধ হলে, দখলদার হলে দেশের মানুষকে যে উপেক্ষা করে যেকোন কিছু করা যায়, সেটা তারা (সরকার) এই বাজেটে প্রমাণ করেছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০ হাজার কোটি টাকা কার পকেটে গেছে। তাদের (সরকার) লুটপাটের টাকা আনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে এই বাজেটের মাধ্যমে।  সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আজকে যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, লুটপাটের ওই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করা যেতো। দেখা যাচ্ছে একটা বাজেটের অর্ধেকের বেশি টাকা তারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। অথচ এই টাকা দিয়ে দেশে আরও চার-পাঁচটা পদ্মা সেতু করা যেতো। সামাজিক সুরক্ষা বলয় বাড়ানো যেতো, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করা যেতো। বিভিন্নভাবে যে ট্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের পকেট থেকে যাচ্ছে। ভ্যাট, উচ্চ মূ্ল্যের বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলের মাধ্যমে যাচ্ছে। মানুষ সবদিক থেকে আক্রান্ত।’  

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্রব্যমূ্ল্য যেখানে গিয়ে দাড়িয়েছে এবং যেখানে যাচ্ছে-সরকারের উচিত ছিল সবচেয়ে বড় অংকের ভর্তুকি দেওয়া, কৃষক থেকে শুরু করে যারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, তাদের ভর্তুকি দেওয়া। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে-লুটপাট বন্ধ করা। কারণ লুটপাট বন্ধ না হলে এই টাকা জনগণকেই দিতে হবে।’  

বাজেটের আকার নিয়ে প্রশ্ন না তুলে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট জনগণ এবং দেশের জন্য কতটা ব্যয় হচ্ছে, সেটাই মূখ্য। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেটের কত অংশ আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য খরচ হচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আজকে সেকারণেই প্রশ্ন এই বিশাল অংকের বাজেট থেকে দেশ ও জনগণের জন্য ২-৩ লাখ কোটি টাকা খরচ হবে কীনা? কারণ যে ধরণের দুর্নীতির মধ্য দিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে, যে ধরণের লুটপাট চলছে, বাজেটের বড় অংশ তো লুটপাটের মধ্য দিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। বিদেশে যে টাকা পাচার হয়েছে, সেই টাকা লুটপাটের জন্য যারা সহযোগিতা করেছে, সেই টাকা এনে লুটপাটের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে।’ 


বিজ্ঞাপন


এর আগে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির অনাগ্রহের কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাজেট আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ না। এজন্য যে, এই লুটেরা, দুর্বৃত্ত সরকারের বাজেট মানেই হচ্ছে আরও লুট, আরও ডাকাতি। আমরা ওই বিষয় নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নই।’

এমই/ একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর