বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

আমরা ভাতের বদলে পুষ্টিকর খাবারে জোর দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২২, ০৬:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

আমরা ভাতের বদলে পুষ্টিকর খাবারে জোর দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। (ফাইল ছবি)

ভাতের বদলে দেশের মানুষ যাতে ডিম, দুধ ও মাছসহ পুষ্টিকর খাবার বেশি খায় সেই দিকে সরকার জোর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। চিকন চালের দাম বাড়লেও মোটা চালের দাম বাড়েনি বলে দাবি করেন মন্ত্রী।  

শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবানে মন্ত্রী এই কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


চালের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মানুষের বর্তমানে একটি প্রবণতা চিকন চাল খাওয়া। সেই চালের দাম দাম ৬৫/৬৬ টাকা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৭০ টাকাও হতে পারে। অথচ মোটা চাল ৪৩ থেকে ৪৬ টাকা। দুই মাসে মোটা চালের দাম কিন্তু বাড়েনি। গ্রাম বাংলার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বলতে একটি বিশালসংখ্যক মানুষ চাল খায়, চাহিদা মিটিয়ে সরকার এসব মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

আবদুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে চাল খাওয়ার প্রবণতা কমছে। আগে একজন দৈনিক ৪১৭ গ্রাম চাল খেত, এখন এটা কমে ৩১৭ গ্রাম হয়েছে। সামনে এটা আরও কমিয়ে ২০০ গ্রামে আনা হবে। ভাতের বদলে পুষ্টিকর খাবার বেশি খাওয়ায় জোর দেওয়া হবে।

সারের দাম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, পটাশিয়াম সার আগে ৩০০ থেকে ৩৫০ ডলার আমরা কিনতাম। গত পারচেস করার সময় এটা ১২০০ ডলার লেগেছে। তার মানে বলা যায় চার গুণ বেড়েছে। সারগুলোতে আমরা অনেক বেশি ভর্তুকি দিচ্ছি। এটা না দিলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হতো, কৃষিপণ্য উৎপাদন কমে যেত। আমরা এমনটা হতে দিইনি। অথচ ভর্তুকি দিতে হয়েছে অনেক বেশি।

মন্ত্রী বলেন, মানুষের আয় বেড়েছে। সে কারণে আগে যারা এক মিল খেত এখন তারা দুই মিল খায়। খাদ্যে আমরা অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। খাবারের জন্য দুর্ভিক্ষ, হাহাকার এসব হবে না ইনশাআল্লাহ।


বিজ্ঞাপন


চালের দাম বাড়ার ব্যাপারে যুক্তি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আটার দাম যখন বাড়ে তখন চালের ওপর চাপ বেশি সৃষ্টি হয়। আটার দাম বেড়েছে। অন্যদিকে বড় করপোরেট হাউসগুলো প্যাকেটজাত চাল বাজারজাত করছে, তাদের চালের দাম অনেক বেশি। আমি তাদের দাম জিজ্ঞেস করেছিল তারা বলেছে তারা এই প্যাকেটজাত চাল ৮২ টাকায় বিক্রি করে। আমি বললাম, এই চাল তো খোলা বাজারে ৬৫ টাকা। তারা বললো, আমাদের চাল তো এই ৮২ টাকাতেই চলে, অনেক চাহিদা। মানুষ কিনতে পারে তাই চাহিদা বেশি।

টিএ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর