শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

করোনা মোকাবিলায় থোক বরাদ্দ কমানো হলো অর্ধেক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২২, ০৬:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

করোনা মোকাবিলায় থোক বরাদ্দ কমানো হলো অর্ধেক

মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে তা কমিয়ে ৫ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করার সময় এই তথ্য দেন।


বিজ্ঞাপন


অর্থমন্ত্রী জানান, ২০২০ সালের প্রথমার্ধ্ব থেকে এখন পর্যন্ত ‘কোভিড-১৯’ অতিমারির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউয়ের প্রকোপে সারা বিশ্ব সংকটাপন্ন সময় অতিক্রম করছে ও ২০২২ এর প্রথমার্ধ্বে এসেও বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যঝুঁকি বিরাজ করছে। বাংলাদেশ এ অতিমারি থেকে জীবন-জীবিকা সুরক্ষাকল্পে স্বাস্থ্যখাত শক্তিশালীকরণসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

এই খাতে বরাদ্দ কমানোর তথ্য জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, স্বাস্থ্যখাতের যেকোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য বিগত দুই বাজেটেই আমরা ১০ হাজার কোটি টাকা করে থোক বরাদ্দ রেখেছিলাম। যদিও দেশে করোনা সংক্রমণ বর্তমানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে, কিন্তু এর সম্ভাব্য পুনরাবির্ভাবের আশঙ্কা এখনও রয়ে গেছে। কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই এখনও এ অতিমারির প্রকোপ রযেছে। সুতরাং কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও জরুর কারণে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংঘটিত ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আগামী অর্থবছরেও স্বাস্থ্যখাতের জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
কোভিড-১৯ এর মতো জটিল অতিমারি মোকাবিলা, দ্রুত সাড়া দেওয়া ও নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং প্রাতিষ্ঠানিক, কারিগরি দিক ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকার গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে। বিগত দুটি বাজেটেই কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বিপুল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেট মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ হিসাবে নতুন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকার কম-বেশি। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।


বিজ্ঞাপন


বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার দেশের অভ্যন্তর থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে ঋণ নেবে এক লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরের উৎস হিসেবে ব্যাংক ঋণ নেওয়া হবে ৯৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। বাকিটা আসবে সঞ্চয়পত্র থেকে। এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। সেই সঙ্গে নতুন করে আরও ১১ লাখ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষায় আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।

এমএইচ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর