শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

দাম বাড়ছে করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২২, ০৯:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

দাম বাড়ছে করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর
ছবি: ঢাকা মেইল

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মহামারি করোনাভাইরাসের সুরক্ষা সামগ্রীর ওপর থেকে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে মাস্কসহ সকল করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি পাবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাবনায় অর্থমন্ত্রী অ হ ম মুস্তফা কামাল এই প্রস্তাব পেশ করেন।


বিজ্ঞাপন


মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে- মাস্ক, কোভিড-১৯ টেস্ট কিট, পিপিই, প্রটেক্টিভ গার্মেন্টস, প্লাস্টিক ফেস শিল্ড এবং মেডিকেল সেক্টরে ব্যবহৃত চশমা। এসব পণ্যের ওপর থেকে উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মেডিটেশন সেবার ওপর বিদ্যমান মূসক অব্যাহতিও প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য জাতীয় অর্থনীতিতে নানামুখী পরিবর্তন ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে পরোক্ষ কর ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন হিসেবে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ নামে একটি নতুন আইন ২০১২ সালে মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি আধুনিক বিনিয়োগ ও রাজস্ববান্ধব মূল্য সংযোজন কর ব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ কার্যকর করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী জানান, নতুন আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে করদাতাগণ যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা দূরীকরণের জন্য প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর বাজেটেও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণসহ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের প্রচেষ্টা গ্রহণের বিষয়কে বিবেচনায় নিয়ে এ বছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বিশেষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস টেস্টিং কিট, বিশেষ ধরনের মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও পিপিই উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, করোনাভাইরাস সনাক্তকরণে আরটি-পিসিআর কিট প্রস্তুতকরণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানির ওপর প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ককর মওকুফ করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় দেশে এখন করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। তাই উক্ত পণ্যসমূহের ওপর প্রদত্ত বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা আগামী ৩০ জুন, ২০২২ এর পর রহিত করার প্রস্তাব করছি।’


বিজ্ঞাপন


তবে স্বাস্থ্য খাতকে সুসংহতকরণে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য কানে শোনার যন্ত্রে ব্যবহৃত ব্যাটারির ওপর প্রযোজ্য শুল্ক কর হ্রাস করা ছাড়াও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য বিশেষায়িত হুইল চেয়ার আমদানিতে বিদ্যমান সকল ধরনের শুল্ককর বিলোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এমএইচ/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর