শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

‘বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে’

অধ্যাপক ড. রুবানা হক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২২, ১০:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে’

আমাদের অবশ্যই সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার যে বরাদ্দ করেছেন এটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে অবশ্যই একটি বিষয় খেয়াল রাখা প্রয়োজন- এই সামাজিক সুরক্ষার ডেফিনেশনটা কী? কোন কোন খাতগুলোকে আমরা সামাজিক সুরক্ষার মধ্যে আনছি, তা জানা প্রয়োজন।

আরেকটি বিষয় হলো- অন্য বছরগুলোতে সামাজিক সুরক্ষার ক্ষেত্রে যার জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সে সঠিক সময়ে বরাদ্দকৃত অর্থ পাচ্ছে কি না। অর্থাৎ, বাস্তবায়নের দিকে গুরুত্ব দেওয়া। এটা আমি আগেও বলেছি। এ বছরও আমি তাই বলবো। যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি।


বিজ্ঞাপন


সামাজিক সুরক্ষার বরাদ্দের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। এছাড়াও সার্বজনীন পেনশনের বিষয়টি আগেও আলোচনা হয়েছে। এবার যদি এটাকে বাস্তবায়ন করা যায়, বড় একটি অংশ, তাদের হাতে এ পেনশনটি আসবে। পেনশন দিতে গেলে এর একটি বড় অংশ সরকারকে রাখতে হবে। যার অর্থ হলো- এই অর্থ আয় করে, তা পৌঁছে দেওয়া।

বড় কথা হলো- রাজস্ব আয়ের দিকটি সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। পেনশন কিংবা সামাজিক সুরক্ষা এটা যেন কম্প্রোমাইজ না হয় সবসময় চাইবো। এছাড়াও বাজেট যেটা করা হয়। পরবর্তীতে যখন সংশোধিত বাজেট হয়- তখন এটা কমে আসে। কিন্তু সামাজিক সুরক্ষায় যে বাজেট করা হয়েছে- এটা যেন সরকার না কমায়। এটার বাস্তবায়ন যেন সঠিকভাবে হয়।

সর্বজনীন পেনশনের ক্ষেত্রে যাদের পাওয়া উচিত তারা পাচ্ছে কি না সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে আমাদের যদি সঠিক ডেটাবেজ থাকে, কে পাওয়ার কথা, কখন পাওয়ার কথা বা কী পরিমাণ পাওয়া কথা- এটা যদি নিশ্চিত করতে পারি তাহলেই সম্ভব। অন্যদিকে আমরা যদি বরাদ্দের অঙ্কটাই দেখি, বাস্তবায়নে কার কাছে, কীভাবে, কখন পৌঁছানোর কথা সে তথ্য আমাদের কাছে না থাকে, তাহলে তা সঠিকভাবে মনিটরিং করতে পারবো না। তখনি প্রসঙ্গটা ওঠে- বাস্তবায়নেই আমাদের দুর্বলতা।

কৃষিতে প্রণোদনার ক্ষেত্রে এবারও যন্ত্রপাতির দাম কমছে। এর প্রভাব অবশ্যই ভালো হবে। খাদ্য উৎপাদনে বিগত বছরগুলোতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি আমরা। অনেকগুলো ফসল উৎপাদনে বিশ্বের টপ হয়েছি। আমাদের দেশের যেখানে একটা বড় অংশ নির্ভর করি কৃষিতে। এটাও সাধুবাদ জানানোর মতোই।


বিজ্ঞাপন


তবে এ ক্ষেত্রে আমরা যখন কৃষি প্রণোদনা দিচ্ছি, সে ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র-মাঝারি কৃষকদের কাছেও যেন প্রণোদনা পৌঁছায়। অনেকক্ষেত্রেই প্রণোদনার একটা অংশ মধ্যস্বত্বভোগীরা বা সিন্ডিকেটের হাতে যায়- সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এর জন্য বাস্তবায়নের দিকে জোর দিতে হবে। কারণ, কাগজে-কলমে প্রণোদনা যে পরিমাণ আমরা বলছি- তা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। এটার বাস্তবায়নের যথাযথভাবে হওয়া প্রয়োজন।

ডিএইচডি/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর