বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

খেটে খাওয়া মানুষের বাজেট চিন্তা

বিধান মজুমদার অনি
প্রকাশিত: ০৬ জুন ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

খেটে খাওয়া মানুষের বাজেট চিন্তা
ছবি : ঢাকা মেইল

বাজেট নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ কম থাকলেও এবারের ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেটের দিকে মুখিয়ে আছে নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষেরা। পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। লাগামহীন দাম বাড়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম আয়ের মানুষের কপালে।

সামনে বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমবে, নাকি বাড়বে এখন এটাই মূল চিন্তার বিষয় সাধারণ আয়ের মানুষের। বাজেটে এসব জিনিসপত্রের দাম না কমিয়ে যদি বাড়ানো হয়, তাহলে প্রভাব পড়বে তাদের জীবন-জীবিকায়। তাই তাদের প্রত্যাশা, চলতি বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালে রেখে সাধারণের ক্রয়সীমার মধ্যে বাজেট তৈরি করা।


বিজ্ঞাপন


মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেল, চলতি ২০২২- ২০২৩ সালের নতুন বছরের বাজেট ভাবনা নিয়ে, জনসাধারণের কথা। 
ডিসি ব্রিজ এলাকায় ছোট্ট একটি চায়ের দোকান চালায় মো. সুমন তালুকদার। ৬ সদস্যের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস এই চায়ের দোকান। সেখানে কথা হয় সুমন তালুকদারের সঙ্গে। 

‘কেমন বাজেট চান’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারাদেশে জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বাড়ছে, আমাদের ক্রয়সীমার ওপরে চলে গেছে। চাল, ডাল, তেল, চিনি থেকে শুরু করে সবকিছুর উর্ধ্বগতি। আগামী বাজেট যেটা আসতেছে, আমরা শুনেছি বিদ্যুৎ এর দামও নাকি বাড়ানো হবে। সেক্ষেত্রে আমরা গরীবরা তো মাঠে মারা যাবো। আমরা ক্রয় করতে না পারলে খাবো কি। আমরা চাই আগামী বাজেটে সরকার যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম গরীবদের ক্রয়সীমার মধ্যে রেখেই বাজেট পাশ করান।

মস্তফাপুরে বসে কথা হয় ভ্যানচালক মো. মৃণাল মাতুব্বরের সঙ্গে। তিনি বলেন, সংসারে যা কামাই করি, খরচা তার চাইতে বেশি হইয়া যায়। কেননা সব জিনিসের খুব দাম। সমস্ত জিনিস কিইন্না খাইতে হয় আমার । তাই আমার আয়ের চাইতে ব্যয় বেশি হইয়া যাইতাছে। অহন যদি সরকার এই জিনিসটা দেইক্কা নতুন বাজেটে জিনিসের দাম কমাইয়া দেয়, তাইলে সংসার নিয়া আমরা বাঁচতে পারমু।

কলেজ শিক্ষার্থী নাঈম সরদার বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের। আমাদের যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো আছে প্রতিটি জিনিসের চড়া দাম। এসব জিনিসের দাম যদি সাধারণের নাগালের মধ্যে আনে তাহলে তাদের জন্য ভালো হয়। আগামীতে বাংলাদেশ সরকার যে বাজেট ঘোষণা করবেন, সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমিয়ে এই খাতে ভর্তুকি দিয়ে শিক্ষা খাত, গবেষণা খাত বা অন্যান্য খাতে বাড়াতে পারেন।


বিজ্ঞাপন


মাদারীপুরের সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি ইয়াকুব খান শিশির বলেন, প্রতিবছরেই বাজেট প্রণীত হয়। তবে দেখা যায়, এই বাজেট নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত এদের কোনো কাজে আসে না। বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি, তাতে নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জীবন কোষ্ঠাগত। আমি মনে করি সরকার যদি বাজেট তৈরি করে, তবে যে খাত নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কাজে আসে না সে খাতে বাজেট বৃদ্ধি করুক। আর কমিয়ে নিয়ে আসুক সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এসব যদি সরকার না দেখে, তাহলে দেখবে কে। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কথা সরকার যেন মাথায় রাখে ও সেভাবে বাজেট প্রণয়ন করে। আমরা এটাই প্রত্যাশা করি।

প্রতিনিধি/এইচই

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর