শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

পাচারের টাকা ফেরত আনায় বাধা দিয়েন না: অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২২, ০৫:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

পাচারের টাকা ফেরত আনায় বাধা দিয়েন না: অর্থমন্ত্রী

বিভিন্নভাবে বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া টাকা দেশে ফেরত আনতে সরকারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রশ্ন না তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত আনতে আপনারা বাধা দিয়েন না। বাধা দিয়ে আপনাদের কী লাভ? তারচেয়ে এই অর্থ দেশে ফেরত এলে তা উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে।’

শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বাজেটের নানা দিক তুলে ধরতে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীকে সহযোগিতা করেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


বিজ্ঞাপন


পাচার হয়ে যাওয়া টাকা প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘টাকার ধর্ম হচ্ছে, যেখানে রিটার্ন বেশি, সেখানে চলে যাওয়া। নানা কারণে দেশ থেকে টাকা চলে গিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এই টাকা ব্রিফকেসে করে কেউ নিয়ে যায়নি। হুন্ডি বা অন্য কোনো উপায়ে নিয়ে গেছে। তাই অনুমান করা গেলেও প্রমাণ করা যায় না। এ কারণে এসব অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়াও সম্ভব হয় না।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান বাস্তবতায় বিদেশে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে এই টাকা জাতীয় অর্থনীতির স্রোতে এক হতে পারে।’

কালো টাকা সাদা করার বৈধতা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘টাকা ডিজিটাল মাধ্যমে পাচার হচ্ছে। নরওয়ে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ উন্নত দেশও এ ধরনের সুযোগ দেয়। নানা কারণে টাকা পাচার হয়, কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলোর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়া যায় না। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে অ্যাকশনও নেওয়া হচ্ছে প্রমাণসাপেক্ষে। এগুলো আমরা চেষ্টা করছি ফেরত আনতে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


বিজ্ঞাপন


জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর