শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

সারে ভর্তুকি বেড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

সারে ভর্তুকি বেড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা
ফাইল ছবি

এবারের বাজেটে কৃষিখাত বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। এর অংশ হিসেবে আগামী অর্থবছরে সারের ক্ষেত্রে সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই তথ্য জানান।


বিজ্ঞাপন


অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন, কৃষকের উন্নতি ছাড়া এদেশের মানুষের মুক্তি আসতে পারে না। ক্ষুধা নিবারণের প্রধান উপাদানের জোগানদাতাদের তিনি সর্বদাই সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছেন। একইভাবে আমরাও কৃষকের উন্নতির জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কৃষি যন্ত্রপাতি এবং সারের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গোটা বিশ্বে সার সরবরাহের ক্ষেত্রে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যৌথভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সারের আমদানি মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমরা দেশে সারের দাম বাড়াইনি। তৎপরিবর্তে সারের ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করে হলেও কৃষকের কল্যাণের দিকে আমরা নজর দিয়েছি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে সার বাবদ ভর্তুকির পরিমাণ প্রাক্কলন করা হয়েছিল মোট ৯,৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু মে ২০২১ এর তুলনায় মে ২০২২ সময়ে অন্যান্য সারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে- ডিএপি ৪৭ শতাংশ, এমওপি ১৭৭ শতাংশ এবং টিএসপি ৫৭ শতাংশ। এ মূল্য বৃদ্ধির কারণে সব ধরনের সার মিলিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকায়। আগামী অর্থবছরেও সারের ক্ষেত্রে সরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করবে।

kamal1

মুস্তফা কামাল বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য আমরা এ খাতে ভর্তুকির পাশাপাশি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করছি। পাশাপাশি কৃষিজাত সামগ্রী রফতানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা ও কৃষি ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ বিলের উপর ২০ শতাংশ রিবেট প্রদান করা হচ্ছে। ডাল, তেল, মসলা, ভুট্টাসহ ২৪টি ফসল উৎপাদনের জন্য সুদ ভর্তুকির আওতায় বিদ্যমান ৪ শতাংশ সুদে বিশেষ কৃষিঋণ আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত রাখা হবে। কৃষিতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিবছরই কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতি ও কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩০.৫৫ লক্ষ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিকে প্রায় ২৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কৃষি ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৪ শতাংশ করেছি। রেয়াতি সুদে ১৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ প্রদানের জন্য তহবিলের ব্যবস্থা করেছি।


বিজ্ঞাপন


ডব্লিউএইচ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর