২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই তিন মন্ত্রণালয় মিলে বরাদ্দ সাত হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটের মন্ত্রণালয়/বিভাগওয়ারি বরাদ্দ থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
প্রস্তাবিত বাজেটে নৌ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৭ হাজার ২২৪ কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থ বছরে মন্ত্রণালয়টির জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৪ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সে হিসেবে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে ২৭৪৩ কোটি টাকা।
বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে দুই হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। নতুন প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দের অঙ্কটা সাত হাজার চার কোটি টাকা। তবে চলতি অর্থ বছরে বরাদ্দ রয়েছে চার হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ রয়েছে ১৬ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা। আর নতুন অর্থ বছরের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে ১৮ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। সে হিসেবে বরাদ্দ বাড়ছে দুই হাজার ৫০১ কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার বিকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেট মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ হিসাবে নতুন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকার কম-বেশি। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার দেশের অভ্যন্তর থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা এবং বিদেশ থেকে ঋণ নেবে এক লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরের উৎস হিসেবে ব্যাংক ঋণ নেওয়া হবে ৯৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। বাকিটা আসবে সঞ্চয়পত্র থেকে। এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। সেই সঙ্গে নতুন করে আরও ১১ লাখ মানুষকে সামাজিক সুরক্ষায় আওতায় আনার পরিকল্পনা করছে সরকার।
কারই/এমআর













































































































