শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

এবারের বাজেট সাহসী ও বাস্তবায়নযোগ্য: সরকারি দল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২২, ১০:৫০ পিএম

শেয়ার করুন:

এবারের বাজেট সাহসী ও বাস্তবায়নযোগ্য: সরকারি দল

একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ এবং ২০২২ সালের বাজেট অধিবেশন মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেল ৫টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। তার আগে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা করোনা পরবর্তী ও বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উপস্থাপন করা এ বাজেটকে সাহসী ও বাস্তবায়নযোগ্য বলে  উল্লেখ করেছেন।

তারা বলেন, এ বাজেট বৈশ্বিক মহামারিতে ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধাবস্থায় ক্ষতিগস্ত অর্থনীতিতে প্রাণ সঞ্চারে নিয়ামক ভূমিকা পালন করবে।


বিজ্ঞাপন


গত ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন। এর আগে গত ১৩ জুন সংসদে চলতি অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেট পাস করা হয়।

বাজেটের ওপর আলোচনায় আজ সোমবার ( ২০জুন) অংশ নেন, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সরকারি দলের আ ফ ম রুহুল হক, কাজী কেরামত আলী, মহিবুর রহমান মানিক, এবাদুল করিম, জিল্লুল হাকিম, তাহজিব আলম সিদ্দিকী, কাজী নাবিল আহমেদ, পংকজ নাথ, কাজী মইনুল ইসলাম, আবদুল আজিজ, খান আহমেদ শুভ, আছলাম হোসেন সওদাগর, সানোয়ার হোসেন, আবুল হাসেম খান,  বাসন্তী চাকমা, বেগম মুনিরা সুলতানা, বেগম হাবিবা রহমান খান, বেগম হোসনে আরা, বেগম সালমা চৌধুরী, আজিবা আনজুম লিজা, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, বেগম রোমানা আলী, জাতীয় পার্টির মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, রানা মোহাম্মদ সোহেল এবং বিকল্পধারার আবদুল মান্নান।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, সাহসী ও সময়োপযোগী এ বাজেট অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় সর্বক্ষত্রে শতভাগ সাফল্য অর্জন করে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাছাড়া তিনি দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম শান্তির আবাস হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের রক্তচক্ষুকে তোয়াক্কা না করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু সেতু নির্মাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন। ২৫ জুন এ সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে জনগণের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন  সফল হতে যাচ্ছে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, করোনা পরবর্তী রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতির কথা বিবেচনায় রেখে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য নিয়েই বাস্তবসম্মত, সময়োপযোগী এবং বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট দেয়া হয়েছে। এ বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে বর্তমান সরকার সূচিত গত ১৩ বছরের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হবে।

তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারি সংক্রমণের সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে সফলভাবে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। তার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী পদক্ষেপে দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকা- সচল রেখে উন্নয়ন অগ্রগতি সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। তাঁর সাহসী পদক্ষেপ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। তারা বলেন, করোনাকালে বিশ্বের প্রায় সব দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। আর বর্তমান সরকারের পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত আর্থ-সামাজিক অবস্থার পুনরুদ্ধারে ২৩টি খাতে প্রণোদনা প্রদান করার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

তারা বলেন, সরকার আমলে গত ১৩ বছরে যুগে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। দেশের জিডিপির আকার বেড়ে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাথাপিছু আয় পাকিস্তানের দ্বিগুণ। আর ভারতের চেয়ে বেশী।

তারা বলেন, তবে এ বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করতে হবে। বিশেষ করে কর আহরনে সংস্কার করে জিডিপির অনুপাতে কর আদায় বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমানে কর আদায়ের অনুপাত মাত্র ৯ শতাংশ। এশিয়ার অন্যান্য দেশে গড় অনুপাত ১৫ শতাংশ। ফলে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই।

তারা দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরৎ আনার ব্যবস্থা করার আহবান জানিয়ে বলেন, সাথে সাথে বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

সূত্র: বাসস

একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর