বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাবে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ জুন ২০২২, ০৭:০৭ পিএম

শেয়ার করুন:

বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাবে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ

প্রস্তাবিত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নয়নে চলমান প্রকল্পগুলো বিশেষ গুরুত্ব পাবে। টারশিয়ারি লেভেলের হাসপাতালের উন্নয়ন ও নতুন হাসপাতাল তৈরিতে এ বরাদ্দ ব্যবহার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী জানান, বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ প্রদানের ক্ষেত্রে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, মৃত্যুহ্রাস ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করছে। অসংক্রামক রোগ যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগের চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য গাইডলাইন প্রণয়ন করাসহ স্ক্রিনিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) সফটওয়ারে অসংক্রামক রোগের তথ্য সন্নিবেশ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বিশ্বমানের ভেনোম রিসার্চ সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


গৃহীত প্রদক্ষেপের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আটটি বিভাগীয় শহরে আটটি অসংক্রামক রোগ হাসপাতালের কার্যক্রম চলমান আছে। এসব হাসপাতালে ১০০ শয্যার ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ ইউনিট স্থাপন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এছাড়া, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যা এবং জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সৌদি অর্থায়নে সিলেট, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী এবং ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শুরু করেছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০০ শয্যা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক বিশ্বমানের হাসপাতালে রূপান্তর ও পুনঃনির্মাণে ফিজিবিলিটি স্টাডি প্রকল্প, পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং বিভাগীয় পর্যায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহে পূর্ণাঙ্গ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ইউনিট স্থাপন প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

একইসঙ্গে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধেও কার্যক্রম চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সংক্রামক রোগ নির্মূলে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা এখন ফাইলেরিয়া ও কালাজ্বর নির্মূলের দোড়গোড়ায় পৌঁছেছি। সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়ামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সরকার জানুয়ারি, ২০১৭ হতে এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির যাত্রা শুরু করে দেশের ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চিকনগুনিয়া ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন প্রনয়ন করা হয়েছে। জাতীয় ডেঙ্গু গাইডলাইন প্রণয়ন ও হাসপাতালে এর পরীক্ষার ব্যয় কমানো হয়েছে। জলাতঙ্ক ও কৃমি নিয়ন্ত্রনে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশে এইডস সংক্রমণের হার এখনও ০.০১ শতাংশের নিচে রয়েছে। ২৮টি হাসপাতালের মাধ্যমে এইচআইভি সনাক্তকরণ কার্যক্রম (এইচআইভি টেস্টিং এবং কাউন্সেলিং সেবা) চালু করা হয়েছে।’
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামের এবারের বাজেটটি প্রস্তুত হয়েছে সরকারের অতীতের অর্জন এবং উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতির সমন্বয়ে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের বাজেট মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এ হিসাবে নতুন অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে দুই লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকার কম-বেশি। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।

এমএইচ/জেবি


বিজ্ঞাপন


 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর