অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের চতুর্থ প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাতে। সবচেয়ে কম ব্যয় ধরা হয়েছে শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবাখাতে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে বাজেটের শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ, পেনশনখাতে চার দশমিক ৬ শতাংশ, ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, বিবিধ ব্যয় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ব্যয় হবে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ, সুদ ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ, স্বাস্থ্য ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, কৃষিখাতে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, প্রতিরক্ষা খাতে ৫ শতাংশ, জনপ্রশাসন খাতে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, গৃহায়ন এক শতাংশ, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্ম খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটের দুই লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এসইসি) সভায় ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন
বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় করা হবে ৭৬ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। পণ্য ও সেবার জন্য ব্যয় করা হবে ৩৮ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।
ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি। ভর্তুকি প্রণোদনা ও নগদ ঋণ বাবদ এক লাখ ৭৭ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) খরচ করা হবে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এডিপি বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্পে ব্যয় হবে সাত হাজার ৭২১ কোটি টাকা। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে দুই হাজার ৬৭৫ টাকা খরচ করা হবে।
কারই/ একেবি













































































































