বর্তমান সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না, তাই এই সরকারের বাজেট দেওয়ার অধিকার নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বাজেটের ওপর কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চান না জানিয়ে বলেছেন, লুটপাটের হিসাব তৈরি করতেই সরকার এই বাজেট প্রস্তাব করেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা এস এ খালেককে দেখে তার বাসা সংলগ্ন ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি কাফরুল থানা ৪টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলে তিনি এই কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত খারাপ সময় অতিবাহিত করছি। এটা শুধু বিএনপির জন্য নয়, সমস্ত জাতি খারাপ সময় অতিক্রম করছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে তারা এদেশের মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা এই দেশটাকে একটি লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে বলছেন বাজেট হচ্ছে, এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া কী? প্রতি বছরই আমরা বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকি, এবছর আর প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। কারণ কোন বাজেটের প্রতিক্রিয়া দেব, কার বাজেটের প্রতিক্রিয়া দেব? কারা এই বাজেট করছে; যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব নয়। যাদের বাজেট দেওয়ার কোনো অধিকার নেই। যারা এই সমস্ত বাজেট তৈরি করে শুধু নিজেদের লুটপাটের জন্য। তারা কী করে ভবিষ্যতে আরও লুটপাট করবে তার একটি হিসাব তৈরি করে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এবার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে। ওখান থেকে কত টাকা লুট করবে তার একটা হিসাব বের করছে। এ কারণেই এই বাজেট আমার কাছে এতটুকু গুরুত্ব পায় না। আর এ বিষয় নিয়ে আমি বেশি কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
বিজ্ঞাপন
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে, দেশটাকে বাঁচাতে হবে। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে আমাদের যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। কোনো ব্যক্তি বা কোনো পরিবারের জন্য দেশ স্বাধীন করা হয়নি; দেশের মানুষের জন্য স্বাধীন করা হয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও সেই স্বাধীনতা নেই। আজকে আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘যত কিছু উন্নয়ন, উন্নয়ন বলতে বলতে পাগল হয়ে গেছে। উন্নয়নটা কোথায়? অবকাঠামো বানাচ্ছে নিজেদের পকেট ভরছে। ৪২ শতাংশ লোক এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। শতকরা ৪২ জন তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। এই অবস্থা নিয়ে লুটপাট করছে।’
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমই/জেবি
