রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

৮ জিলহজ মিনায় অবস্থানের গুরুত্ব

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২৩, ১২:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

৮ জিলহজ মিনায় অবস্থানের গুরুত্ব

হজের মূল কার্যক্রম ৮ জিলহজ সকালে মিনায় রওনা হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ তারিখে বিদায়ী তাওয়াফের মাধ্যমে। মিনায় যাওয়ার আগে হাজিরা হজের নিয়তে ফরজ ইহরাম পরিধান করেন। হজ পালনের নিয়তে আগে থেকে যারা মক্কা-মদিনায় অবস্থান করছেন, তাদের বেশিরভাগই মিনায় চলে গেছেন, বাকিরা দুপরের আগে মিনা পৌঁছাবেন। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশ থেকে এখনও যেসব হজযাত্রী সৌদি আরব এসেছেন, তাদেরকে বিমানবন্দর থেকে সোজা মিনায় তাদের নির্দিষ্ট তাঁবুতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

এবার হজপালনের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় ৮ কিলোমিটার। মিনাকে তাবুর শহর বলা হয়। এটা মক্কার পার্শ্ববর্তী এলাকা। মক্কা থেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাওয়ার মহাসড়কের পাশে মিনার অবস্থান। মিনার আয়তন প্রায় ২০ বর্গকিলোমিটার।


বিজ্ঞাপন


Mina the tent

মিনায় হাজিদের রাত কাটানোর জন্য আলাদা তাঁবু রয়েছে। প্রত্যেক তাঁবুর আলাদা নম্বর রয়েছে। এখানে হাজিদের এজেন্সির পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হবে। মিনার তাঁবুগুলো সারা বছর গুটিয়ে রাখা হয়। ওই সময় সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষেধ। ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত মিনা

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত। ২০২৩ সালের হজে সৌদি আরবের হিসাবে ৮ জিলহজ হলো ২৬ জুন, সোমবার। এদিন হজ পালনকারীদের জন্য জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছানো এবং সেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ও রাতযাপন করা সুন্নত। 

pilgrims Mina tent


বিজ্ঞাপন


রাসুলুল্লাহ (স.) ৮ জিলহজ জোহর থেকে ৯ জিলহজ ফজর পর্যন্ত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করেছেন। হাদিসে এসেছে, হজরত জাবের (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ৮ জিলহজ মিনায় গমন করেছেন এবং সেখানে জোহর, আছর, মাগরিব, এশা ও ফজর নামাজ পড়েছেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৮/৪৭৮, হাদিস: ১৪৭৫৫; সহিহ মুসলিম: ১/৩৯৬) মিনা নামাজ আদায়, মিনায় অবস্থান, মিনায় রাতযাপন

অন্য বর্ণনায় হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) বলেন- সুন্নত হলো ইমাম জোহর, আছর, মাগরিব, এশা ও ফজর মিনায় পড়াবেন। এরপর মিনা হতে আরাফায় রওনা করবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৮/৪৭৯, হাদিস: ১৪৭৬০; মানাসিক: ১০৪; গুনইয়াতুন নাসিক: ১৪৬; রদ্দুল মুহতার: ২/৫০৩)

৮ জিলহজ দিবাগত রাত মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। আর এই দিনে জোহর থেকে ৯ তারিখ সকাল পর্যন্ত পুরো সময় একনাগাড়ে সেখানে অবস্থান করা মোস্তাহাব। (গুনইয়াতুন নাসিক: ১৪৬; রদ্দুল মুহতার: ২/৫০৩; ফতোয়া খানিয়া: ১/২৯৩; আততাজরিদ: ৪/১৯৫৭; আলইখতিয়ার ১/১৬০) হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় কিসের দ্বারা

উল্লেখ্য, মিনার উদ্দেশ্যে ৮ জিলহজ রওনা করা মোস্তাহাব। ৮ জিলহজ সূর্যোদয়ের আগে কিংবা ৭ জিলহজ মিনায় চলে যাওয়া অনুত্তম। অবশ্য মুয়াল্লিমের পক্ষ থেকে নিতে বাধ্য করলে যাওয়া দোষণীয় নয়। (আলমুহিতুল বুরহানি: ৩/৪০২; আলবাহরুর রায়েক: ২/৩৩৫; আলবাহরুল আমিক: ৩/১৪০৭)

মিনায় অবস্থানের পুরোটা সময় হাজিরা নামাজ ছাড়াও তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকবেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। Mina Tent, Pilgrims, whole night at Mina

আজ সোমবার মিনার তাঁবুতে অবস্থান করবেন হাজিরা। পরদিন তারা যাবেন আরাফাতের ময়দানে। মূলত ৯ জিলহজ ‘আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজ’ (নাসায়ি: ৩০৪৪)। এরপর মুজদালিফা হয়ে হাজিরা আবার মিনায় ফিরবেন। সেখানে অবস্থান করে শয়তানকে কংকর মারা, কোরবানি, মাথা মুণ্ডন, তাওয়াফ এসব আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে হজের কার্যক্রম। মিনায় অবস্থান করা সুন্নত, মিনায় অবস্থানের ফজিলত, মিনায় অবস্থানের গুরুত্ব

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর