রোববার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

জিলহজ মাসের ৯ রোজা 

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩, ০৩:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

জিলহজ মাসের ৯ রোজা 

আরবি হিসাবে সর্বশেষ মাস জিলহজ। অনেক ফজিলতপূর্ণ একটি মাস। এই মাসের প্রথম ১০ দিনের মর্যাদা, মাহাত্ম্য ও শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনায় আল্লাহ তাআলা কসম করে বলেন, ‘শপথ প্রভাতের। শপথ ১০ রাতের।’ (সুরা ফাজর: ১-২) তাফসিরবিদরা বলেন, এখানে যে ১০ রাতের কথা বলা হয়েছে, এর মাধ্যমে জিলহজের প্রথম দশককেই বোঝানো হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা-৫৩৫) 

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘মহান আল্লাহর কাছে জিলহজের ১০ দিনের চেয়ে উত্তম কোনো দিন নেই।’ (সহিহ ইবনে হিববান: ২৮৪২) তাই এই ১০ দিন বেশি বেশি নেক আমল করার ফজিলত অনেক বেশি। আর নেক আমলের মধ্যে রোজার গুরুত্ব অনেক বেশি। হাদিসে এসেছে, রাসুল (স.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে জিলহজের প্রথম দশকের নেক আমলের চেয়ে বেশি প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। এ দিনগুলোর এক দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য এবং এক রাতের ইবাদত শবে কদরের ইবাদততুল্য।’ (তিরমিজি, খণ্ড: ১, পৃষ্ঠা-১৫৮) জিলহজ মাসের ৯ম দিনের রোজা, জিলহজ মাসের নবম দিনের রোজা


বিজ্ঞাপন


জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা সুন্নত। এসব দিনে রোজার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। হাফসা (রা.) বর্ণনা করেছেন, চারটি আমল নবী কারিম (স.) কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোজা, জিলহজের প্রথম দশকের রোজা, প্রতি মাসের তিনদিনের রোজা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ। (সুনানে নাসায়ি: ২৪১৫) জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন, জিলহজের ৯ রোজা

এই মাসের নবম দিনের রোজা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আরাফার দিনের (৯ তারিখের) রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে তিনি এর দ্বারা বিগত এক বছর ও আগামী বছরের গুনাহ মাফ করবেন। (সহিহ মুসলিম: ১১৬২; আবু দাউদ: ২৪২৫) 

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসে বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগি করার তাওফিক দান করুন। সুন্নতের অনুসরণে প্রথম নয়দিন রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন। জিলহজ মাসের রোজা, জিলহজ মাসের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখা সুন্নত

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর