শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

কাবাঘর তাওয়াফের বিধান ও ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৩, ১২:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

কাবাঘর তাওয়াফের বিধান ও ফজিলত

হজের গুরুত্বপূর্ণ রোকন তাওয়াফ। কোনো কিছুর চারদিকে প্রদক্ষিণ করাকে শাব্দিক অর্থে তাওয়াফ বলে। হজের ক্ষেত্রে কাবা শরিফের চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করাকে তাওয়াফ বলে। পবিত্র কাবা ছাড়া অন্যকোনো জায়গায় কোনো জিনিসকে কেন্দ্র করে তাওয়াফ করা হারাম। পবিত্র কোরআনের একাধিক আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের পবিত্র কাবা তাওয়াফ করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন—সুরা হজের এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে ও তাওয়াফ করে প্রাচীন গৃহের।’ (সুরা হজ: ২৯)

এখানে প্রাচীন ঘর বলতে পবিত্র কাবাঘরের কথা বলা হয়েছে। কাবাঘরের তাওয়াফ এতটাই ফজিলতপূর্ণ ইবাদত যে পবিত্র কোরআনে বায়তুল্লাহর তাওয়াফকে নামাজের আগে উল্লেখ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমারা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতেকাফকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা বাকারা: ১২৫)

এই আয়াতে মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম তাওয়াফকারীদের কথা উল্লেখ করেছেন। একইভাবে সুরা হজেও মহান আল্লাহ তাওয়াফকারীদের কথা সর্বপ্রথম উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ কায়েমকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য।’ (সুরা হজ: ২৬)

আরও পড়ুন: কাবাঘর তাওয়াফের নিয়ম

আয়াতগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায়, পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ করা নফল নামাজের চেয়েও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফ ছাড়া হজ-ওমরা শুদ্ধ হয় না। কোনো কোনো হাদিসে পবিত্র কাবাঘরের তাওয়াফকে নামাজের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেছেন, বায়তুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের অনুরূপ। তবে তোমরা এতে (তাওয়াফকালে) কথা বলতে পারো। সুতরাং তাওয়াফকালে যে ব্যক্তি কথা বলে সে যেন ভালো কথা বলে। (তিরমিজি: ৯৬০)

তাউস (রহ.) থেকে বর্ণিত, এমন এক ব্যক্তির সূত্রে বর্ণনা করেন যে, যিনি নবী (স.)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেছেন, তিনি বলেন, বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করাও সালাতের মতো। অতএব কথা কমই বলবে। (নাসায়ি: ২৯২২)

সঠিকভাবে পবিত্র বায়তুল্লাহর তাওয়াফে দাস মুক্ত করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায় এবং প্রতি কদমে কদমে সওয়াব হয়। আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করল এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ল, তা একটি ক্রীতদাসকে দাসত্বমুক্ত করার সমতুল্য।’ (ইবনে মাজাহ: ২৯৫৬)

তাঁকে আমি আরো বলতে শুনেছি, যখনই কোনো ব্যক্তি তাওয়াফ করতে গিয়ে এক পা রাখে এবং অপর পা তোলে আল্লাহ তখন তার একটি করে গুনাহ মাফ করে দেন এবং একটি করে সওয়াব লিখে দেন। (তিরমিজি: ৯৫৯)

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র মক্কা-মদিনা জিয়ারতের তাওফিক দান করুন। পবিত্র কাবাঘর যথাযথ নিয়মে তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তাওয়াফ করার নিয়ম, কাবা তাওয়াফের হুকুম, পবিত্র কাবা তাওয়াফের ফজিলত, তাওয়াফ করার পদ্ধতি, কাবা তাওয়াফের নিয়ম, তাওয়াফ কত প্রকার, তাওয়াফে জিয়ারত, বিদায়ী তাওয়াফ, কাবা শরীফ তাওয়াফ, পবিত্র কাবা তাওয়াফের ফজিলত, তাওয়াফের নিয়ম, তাওয়াফের সুন্নত, কাবা তাওয়াফের ওয়াজিব কাজ, কাবা তাওয়াফের ইতিহাস, তাওয়াফে কুদুম, রমল কাকে বলে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর