যশোরের অভয়নগরে ঈদ মেলায় ইন্ডিয়ান পানিপুরি ও ভোজপুরি দোকানের ফুচকা খেয়ে শিশুসহ কমপক্ষে ২১৩ জন নারী-পুরুষ হাসপাতালে ভর্তি হন। অসুস্থ হওয়া এসব রোগী অভয়নগর উপজেলার আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ফুচকা দোকানের মালিক দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত অসুস্থ এসব রোগীদের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে আসা ২১৩ জন (ফুচকা খেয়ে অসুস্থ) রোগীকে ভর্তি করা হয়। এসব রোগীদের মধ্যে ১৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা দিয়ে ৫৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়া এক পরিবারের সদস্য কাপাশহাটি গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা তাকিব হুসাইন জানান, ভৈরব সেতুর পূর্বপাড়ে দেয়াপাড়া এলাকায় ঈদের দিন বসেছিল ঈদ মেলা। সেই মেলায় গিয়ে ফুচকা খেয়ে তার পরিবারের তিনজন, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের ইমাম সাহেবের পরিবারের আটজন, প্রেমবাগ গ্রামের এক পরিবারের পাঁচজন, যথাক্রমে আসাদুল, তার স্ত্রী সুমাইয়া, ছেলে সোহাগ ও সিয়াম, মেয়ে বৃষ্টিসহ কমপক্ষে ১০০ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১৩ জনে।
অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজিব জানান, ঈদের দিন মেলা থেকে ফুচকা খেয়ে ফুড পয়জনিং (ডাইরিয়ায় আক্রান্ত) হয়ে ২১৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি, তবে বয়স্ক নারী-পুরুষও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেশিরভাগ রোগীর পেটে ব্যথা, জ্বর, পাতলা পায়খানা ও বমির কারণেই তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে স্যালাইনসহ ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবা দিয়ে ৫৩ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিনিধি/ এমইউ