শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

হাজিদের সম্মানে গাছ-পাথরের তালবিয়া পাঠ

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম

শেয়ার করুন:

হাজিদের সম্মানে গাছ-পাথরের তালবিয়া পাঠ

হজ ইসলামের এক মহান ইবাদত এবং অন্যতম রোকন। ইসলাম হজযাত্রীদের সুমহান মর্যাদা দিয়েছে। হাজিদের অভিহিত করেছে আল্লাহর পথের যাত্রী হিসেবে। হাজিরা শুধু নিজের জন্য নয়, অন্য মুমিনদের জন্যও যদি আল্লাহর কাছে মাফ চায় আল্লাহ তাদের দোয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘হজ ও ওমরা পালনকারীরা আল্লাহর মেহমান। তারা দোয়া করলে তা কবুল হয়ে যায় এবং গোনাহ মাফ চাইলে তা মাফ করে দেয়।’ (ইবনে মাজাহ: ২৮৯২, ২৮৯৩)

হাজিদের সম্মানে পাথর, বৃক্ষরাজি, মাটি সবকিছুই তাদের সাথে তালবিয়া পাঠ করে। হাদিসে এসেছে, সাহল ইবনে সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডান ও বামে পাথর, বৃক্ষরাজি, মাটি সবকিছুই তার সাথে তালবিয়া পাঠ করে। এমনকি পৃথিবীর এ প্রান্ত হতে ওই প্রান্ত পর্যন্ত (তালবিয়া পাঠকারীদের দ্বারা) পূর্ণ হয়ে যায়।’ (তিরমিজি: ৮২৮; মেশকাত: ২৫৫০; সহিহুল জামে: ৫৭৭০)


বিজ্ঞাপন


হাজিদের এতই মর্যাদা যে হজ সম্পন্ন করার পর তারা মাসুম বা নিষ্পাপ হয়ে যায়। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন- ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করেছে, যার মধ্যে সে অশ্লীল কথা বলেনি বা অশ্লীল কার্য করেনি, সে হজ থেকে ফিরবে সেদিনের মতো (নিষ্পাপ অবস্থায়) যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিলেন।’ (সহিহ বুখারি: ১৫২১)। অর্থাৎ সে কবিরা-সগিরা, প্রকাশ্য-গোপনীয় সব গুনাহ থেকে ওইরূপ মুক্ত হয়ে ফিরে আসে, যেরূপ একজন শিশু গুনাহ মুক্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করে। (ইবনু হাজার, ফাতহুল বারি: ৩/৩৮২)

হজ দারিদ্র্য দূর করে এবং কবুল হজের বিনিময় জান্নাত। বিখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরা পালন কর। কেননা হজ ও ওমরা উভয়টি দারিদ্র্য ও পাপরাশিকে দূরীভূত করে যেমনিভাবে রেত স্বর্ণ, রৌপ্য ও লোহার মরিচা দূর করে দেয়। আর মাবরুর হজের বদলা হলো জান্নাত।’ (তিরমিজি: ৮১০)

ফেরেশতাদের সামনে হাজিদের প্রশংসা করেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আরাফার দিন ব্যতীত অন্য কোনোদিন আল্লাহ এত অধিক পরিমাণ লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন না। ওই দিন আল্লাহ নিকটবর্তী হন। অতঃপর আরাফাহ ময়দানের হাজিদের নিয়ে ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন ও বলেন, দেখ ওই লোকেরা কি চায়?’ (মুসলিম: ১৩৪৮; মেশকাত: ২৫৯৪; সহিহাহ: ২৫৫১)

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে আল্লাহর মেহমান হওয়ার সুযোগ দান করুন। সবাইকে কবুল হজ নসিব করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর