২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জয় করে নিয়েছিল ভারত। সেই ভেন্যুতে রোহিত শর্মারা আজ লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামে। এবারের আসরের প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে টিম ইন্ডিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ক রোহিত শর্মা সাজঘরে ফিরে যান। কিন্তু বিরাট কোহলি ও গুভমান গিলের ১৮৯ রানের বিধ্বংসী জুটিতে বড় সংগ্রহের ভীত পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষ দিকে শ্রেয়াস আইয়ারের ৮২ রানের ক্যামিও ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রানের পুঁজি পায় ভারত।
আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে দিলশান মাদুশঙ্কার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার রোহিত শর্মা। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও গুভমান গিল।
বিজ্ঞাপন
দুইজনেই দেখেশুনে মিডেল ওভারে খেলতে থাকেন। লঙ্কান বোলারদের উপর চড়াও হয়ে দুজনে নিজেদের অর্ধশতক তুলে নেন। ২৫তম ওভার শেষে এই দুই টপ অর্ডার ব্যাটারই তাদের শতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ৩০তম ওভারে ৮ রানের আক্ষেপ নিয়ে ব্যক্তিগত ৯২ রানে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন গিল।

বিশ্বকাপে আজ নিজেদের সপ্তম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ওয়ানডেতে কোহলির শতকের সংখ্যা ছিল ৪৮টি। ওয়াংখেড়েতে লঙ্কানদের বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শতক হাঁকানোর রেকর্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কোহলি। তবে ধর্মাশালায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানে আউট হওয়া এই তারকার ভাগ্যে যেন আজও সহায় হয়নি।
ব্যক্তিগত ৮৮ রান করে আক্ষেপকে সঙ্গী করে মাদুশঙ্কার বলে সাজঘরে ফিরেন কোহলি। গিলের পর শতক বঞ্চিত হন ভারতের এই সেরা ব্যাটার। শেষ দিকে আইয়ারের ৫৬ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় ভারত।
বিজ্ঞাপন

শেষ দিকে জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৫৭ রানের পুঁজি পায় ভারত। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৫টি উইকেট নিয়ে এবারের আসরের সর্বোচ্চ (১৮) উইকেট শিকারি বনে গেছেন দিলশান মাদুশঙ্কা।





































































































































































