মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কোহলির শতকে বাংলাদেশের লজ্জার হার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

কোহলির শতকে বাংলাদেশের লজ্জার হার

ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর ইংল্যান্ড এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। পুনেতে টাইগারদের পরাজয়ের স্বাদ নিতে হলো আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচেও। ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে আজ টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে লাল-সবুজের দল পেয়েছিল ২৫৬ রানের সংগ্রহ। মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিরাট কোহলির অপরাজিত শতকে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে রোহিত শর্মার দল। 

বাংলাদেশের দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজ শুরু থেকেই হাত খুলে খেলেছেন অধিনায়ক রোহিত। আর তাকে যোগ্য সঙ্গে দিয়ে গেছেন টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা শুভমান গিল। এ দুজন মিলে প্রথম দশ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ৬৩ রান। পরের ২ ওভারে যা পৌঁছে ৮০ রানে।


বিজ্ঞাপন


তবে এরপরই নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতে ইনিংসের ত্রয়োদশ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে পুল শটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচে পরিণত হন অধিনায়ক রোহিত। সাজঘরে ফেরার আগে ৪০ বল খেলে করেছেন ৭ চার এবং ২ ছয়ে করেছেন ৪৮ রান।

৮৮ রানে ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর মাঠে গিলের সঙ্গী হন কোহলি। এ দুজন মিলে পরে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন আরও ৪৪ রান। তবে গিল নিজের ফিফটি তুলে নেয়ার পর দলীয় ১৩২ রানে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। ৫৫ বলে ৫৩ রান করা গিলকে ফিরিয়েছেন মেহেদী মিরাজ। 

গিল ফেরার পর ক্রিজে কোহলির সঙ্গী হন শ্রেয়াস আইয়্যার। এ জুটিতেও ৪৬ রান যোগ হয় ভারতের স্কোরবোর্ডে। এরপর ১৯ রান করা শ্রেয়াসকেও ফেরান মিরাজ ভারতের দলীয় ১৭৮ রানে। তবে শ্রেয়াস ফিরলেও জয় তুলে নিতে কোনো বেগই পেতে হয়নি স্বাগতিকদের।

লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটুকু সেরেছেন কোহলি। ৪৮ বলে ফিফটি তুলে নেয়া কোহলি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন ৯৭ বলে ১০৩ রানে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেয়া রাহুল করেছেন ৩৪ বলে ৩৪ রান। ফলে টুর্নামেন্টে নিজেদের টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে ভারত। টাইগারদের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। আর দুর্দান্ত শতকে আজকের ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্যারিয়ারের ৭৮ তম সেঞ্চুরি তুলে নেয়া কোহলি। 


বিজ্ঞাপন


এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে আজ ধীরে-সুস্থেই খেলা শুরু করেছিলেন লিটন-তামিম। এ দুইজন প্রথম ৫ ওভারে স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০ রান। লিটন তো রানের খাতা খুলতেই খেলেন ১৪ বল। তবে এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন দুইজন। ফলশ্রুতিতে গড়েছেন দুর্দান্ত রেকর্ড।  

এবারের আসরে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান এসেছে আজ। দুজন মিলে খেলেছেন পাওয়ার প্লের পুরোটাই, রান তুলেছেন ৬৩। এরপর লিটন-তামিমের জুটি স্থায়ি হয় ১৪.৪ ওভার পর্যন্ত। দলীয় ৯৩ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি এটিই।

এদিকে রেকর্ড জুটি গড়ার পথে তামিম তুলে নিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। তবে ৪৪ বলে ফিফটির দেখা খেলেও নিজের ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি তিনি। ৪৩ বলে ৫ চার এবং ৩ ছয়ে ৫১ রান করে কুলদীপ যাদবের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি।

এদিকে ৯৩ রানে তামিম সাজঘরে ফেরার পরই বাঁধে বিপত্তি। এরপর দ্রুত তিন উইকেট হারায় টাইগাররা। ব্যক্তিগত ৮ রানে জাদেজার বলে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে অধিনায়ক শান্ত আউট হবার পর দলীয় ১২৯ রানে সাজঘরে ফিরেন মেহেদী মিরাজও। আউট হবার আগে তিনি করেছেন ৩ রান।

এরপর ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। তবে এ দুজনের জুটিও আজ আশা দেখাতে পারেনি বাংলাদেশকে। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ফিফটি তুলে নেয়া লিটন ৮২ বলে ৬৬ রান করে আউট হন দলীয় ১৩৭ রানে। লিটন ফেরার পর হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেন ৪২ রান। তবে এ জুটি ভাঙে দলীয় ১৭৯ রানে হৃদয় ৩৫ বলে ১৬ রান করে আউট হলে। এরপর দলীয় ২০১ রান পূরণ হতেই আউট হন বিশ্বকাপে এক হাজার রানের মাইলফলক ছোয়া মুশফিকও। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি করেন ৩৮ রান।

এরপর বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ২৫৬ রান পর্যন্ত পৌঁছেছে রিয়াদের কল্যাণে। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার শেষ দিকে দেখেশুনে খেলে সমান ৩টি করে চার এবং ছয়ে করেছেন ৩৬ বলে ৪৬ রান। শেষ ওভারে বুমরাহর এক ইয়র্কারে বোল্ড হপ্যে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। তাঁর এই প্রায় অর্ধশতক ছোয়া ইনিংসের কল্যাণেই শেষ পর্যন্ত ২৫৬ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জাদেজা, সিরাজ এবং বুমরাহ।   

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর