বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড। ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার একেবারে তলানীতে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালে উঠার আশাও কার্যত শেষ। ইংলিশদের এখন তাই নিজেদের মর্যাদা রক্ষার লড়াই। সে লক্ষ্যে আজ এবারের আসরে এখনো পর্যন্ত একমাত্র অপরাজিত দল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামে থ্রী লায়ন্সরা। লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের উড়ন্ত ব্যাটিং অর্ডারের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে ইংলিশ বোলাররা। আদিল রশিদ-ডেভিড উইলিদের বোলিং তোপে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২২৯ রানের পুঁজি পায় ভারত।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। তার সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা শুরুতেই প্রমাণ করেন বোলাররা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওপেনার শুভমান গিলকে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতীয় শিবিরে আঘাত হানা শুরু করে ইংলিশ বোলাররা।
বিজ্ঞাপন
দলীয় ২৬ রানে টিম ইন্ডিয়ার প্রথম উইকেটের পতনের পর ক্রিজে এসে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি বিরাট কোহলিও। ৯ বল খেলে শূণ্য রানের আউট হয়েছেন ভারতের সেরা এই ব্যাটার। ২৭ রানে দুই উইকেট হারানো ভারতকে একাই টানেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তৃতীয় উইকেটে ক্রিজে এসে ব্যর্থ হয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারও। ১৬ বলে ৪ রান করে দলীয় ৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত খেলা ভারত ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে যখন দিশেহারা তখন দলের হাল ধরেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা দুজন মিলে গড়েন ৯১ রানের বড় জুটি। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখে ভারত। তবে ৩১তম ওভারে রাহুল ফিরে গেলে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রোহিত শর্মাও। ৩৭তম ওভারে দলীয় ১৬৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার।
বিজ্ঞাপন
শেষ দিকে সূর্যকুমার যাদবের ৪৯ রানে ও জাস্প্রিত বুমরার ১৬ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায় ভারত। ইংলিশদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন উইলি। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেন রোহিত।





































































































































































